স্পোর্টস ডেস্ক(০২ ফেব্রুয়ারী): এটা এখন পরিষ্কার যে, মারিও বালোতেল্লি এত দিন ইংল্যান্ডে মোটেও স্বস্তিতেছিলেন না। ইংল্যান্ডের গণমাধ্যম, আবহাওয়া, খাবার, গাড়ি চালানোরপদ্ধতি—সবকিছু থেকে মুক্তি পেয়ে যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন এই ইতালীয় তরুণস্ট্রাইকার। ইতালির শীর্ষ দল এসি মিলানের সঙ্গে নতুন চুক্তি করে ইংল্যান্ডছাড়ার পর তাঁর মনোভাবটা অনেকটা এমনই।
২০১০ সালে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগদেওয়ার পর মাঝেমধ্যেই কোচের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেনমারিও বালোতেল্লি। এ ছাড়া মাঠের বাইরে নানা উদ্ভট কীর্তি করেআলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন ২২ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার। অন্য কোনো দেশে থাকলেহয়তো বালোতেল্লির এসব কীর্তির অনেক কিছুই জনসমক্ষে আসত না। কিন্তুইংল্যান্ডের শক্তিশালী গণমাধ্যমের চোখ এড়িয়ে থাকতে পারেননি ‘সুপার মারিও’।এই কারণেই হয়তো তিনি তাঁর অপছন্দের তালিকার প্রথমেই রেখেছেন ইংলিশগণমাধ্যমকে। তিনি বলেছেন, ‘যখন আমরা সবাই দল বেঁধে ট্রেনে করে কোথাও যেতাম, অনুশীলন করতাম, সেগুলো ছিল আমার ভালো লাগার মুহূর্ত। আর খারাপব্যাপারগুলো? বাকি যা কিছু আছে, সবই। প্রথমেই গণমাধ্যম। তারপর আবহাওয়া, খাবারদাবার, ইংলিশদের গাড়ি চালানোর পদ্ধতি।’ তবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ যে এইমুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবল প্রতিযোগিতা, সেটা জানাতে অবশ্যকুণ্ঠা বোধ করেননি বালোতেল্লি।
গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে এসিমিলানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আবার নিজ দেশে ফিরে গেছেন মারিও বালোতেল্লি।আর নিজের পরিবার-বন্ধুবান্ধবের মধ্যে ফিরতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন এইইতালীয় স্ট্রাইকার। তাঁর ভাষায়, ‘মিলানের হয়ে খেলার স্বপ্নটা আমার চিরকালইছিল। কাজেই আমি এখন খুবই খুশি। কিন্তু আমি বেশি কথা না বলে ভালো খেলতেচাই।’ রয়টার্স
নিউজরুম