স্পোর্টস ডেস্ক(০২ ফেব্রুয়ারী): উপলক্ষটা স্মরণীয় করে রাখতে তিনি ভালোই জানেন। শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করাইতিহাসের মাত্র সপ্তম ব্যাটসম্যান তিনি। কালকের দিনটাও ছিল তাঁর জন্যমাইলফলক ছোঁয়ার। অনন্য এক ‘সেঞ্চুরি’ পূরণ করার। ইতিহাসের প্রথম অধিনায়কহিসেবে শততম টেস্ট। তার ওপরে জন্মদিন! এখনো দ্বিতীয় ইনিংস বাকি আছে। সেখানেকী করবেন কে জানে। তবে প্রথম ইনিংসে পারেননি গ্রায়েম স্মিথ। সতর্ক-সাবধানীশুরু করেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন উমর গুলের বলে। ‘সিকি সেঞ্চুরি’ওকরতে পারেননি, আউট হয়েছে ২৪ রান করে।
স্মিথের বিদায়ের ঠিক আগের ওভারেআলভিরো পিটারসেনকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জুনাইদ খান। গুল-জুনাইদ শুরুতে যেধাক্কা দিয়েছিলেন, তার চেয়েও জোরালো ধাক্কা শেষ সেশনে দিয়েছেন মোহাম্মদহাফিজ। ১৯৯ থেকে ২৫৩—এই ৫৪ রানের মধ্যে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে অলআউট দক্ষিণআফ্রিকা। এর চারটাই হাফিজের। জোহানেসবার্গ টেস্টের প্রথম দিনটা তাই স্মিথবা দক্ষিণ আফ্রিকার নয়; হাফিজের এবং পাকিস্তানের।
পাকিস্তানের বোলিংনিয়ে কখনোই কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। ব্যাটিংয়েও অনেক তারকা এসেছেন। কিন্তু দলেরচিরায়ত দুর্বল দিক তাদের ফিল্ডিং। সেই পাকিস্তান কাল দুর্দান্ত দুটি ক্যাচনিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মেরুদণ্ডে আঘাত হেনেছে। শেষ সেশনে ভূমিকম্পের মধ্যেপড়া দক্ষিণ আফ্রিকার লেজটাকে ছাঁটতে ত্বরিত ভূমিকা রেখেছে একটা রানআউট। ৪৬রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর ক্যালিস-আমলা মিলে দারুণভাবে এগিয়ে নিচ্ছিলেনদলকে। দুজনের ৭৯ রানের জুটিটা ভেঙেছে আসাদ শফিকের দারুণ এক ক্যাচে ক্যালিসফিরে গেলে। গালিতে আরও দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে খানিক পর আমলাকে ফিরিয়েছেনআজহার। এই ক্যাচের সৌজন্যে অষ্টম টেস্ট উইকেটটি পেয়েছেন ইউনুস খান।চা-বিরতি পর্যন্ত আর কোনো বিপদ বাড়েনি দক্ষিণ আফ্রিকার। বরং ৭৮ ওভারে শেষে ৫উইকেটে ২৩২ মনে করাচ্ছিল, দিনটা বুঝি থাকবে সমানে সমান। কিন্তু সেই ধারণাভুল প্রমাণ করে দিয়েছেন হাফিজ।
৭১তম ওভারে প্রথম আক্রমণে আসেন। এতদেরিতে কেন অধিনায়ক বল দিলেন সেই রাগ মেটাতেই হয়তো প্রথম বলেই ডিভিলিয়ার্সকে ফেরালেন। তবে হাফিজের ভয়ংকর হয়ে ওঠা তাঁর ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলথেকে। নয় বলের মধ্যে তুলে নেন ৩ উইকেট। ওয়েবসাইট, টেন ক্রিকেট।
নিউজরুম