টাঙ্গাইল (২ফেব্রুয়ারী) : এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও একই স্থানে দুই গ্রুপের সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই নেতা ফিরোজ হায়দার খান ও শাহ আলম গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ভাংচুর করা হয়েছে বিএনপির এক গ্রুপের অফিস।
সংঘর্ষের সময় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে, সংঘর্ষের পর পরবর্তী অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে গোড়াই হাটুভাংগা শিল্পাঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ এনামুল কবীর ১৪৪ ধারা জারির ঘোষণা দেন।
শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই হাটুভাংগা শিল্পাঞ্চলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে গোড়াই ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকায় বিএনপির টাঙ্গাইল জেলা শাখার সদস্য ফিরোজ হায়দার খানকে সভাপতি করে শ্রমিক দল কর্মিসভা আহ্বান করে। এ অনুষ্ঠানের খবর শুনে গোড়াই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ আলম একই এলাকায় ওয়ার্ড বিএনপির পরিচিতি সভা ডাকেন।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করা হয় সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকীকে। বিকেল ৪টার দিকে ফিরোজ হায়দারের লোকজন ৪০ থেকে ৪৫টি মোটরসাইকেলের শোভাযাত্রা নিয়ে সোহাগপাড়া এলাকার দিকে এলে শাহ আলমের লোকজন তাদের ওপর ইট নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। এতে যুবদল নেতা শামিম রেজা শামিম, মাজাহারুল ইসলাম মাজু ও জয়নাল আবেদীনসহ ৬ জন আহত হন।
এই ঘটনার পর অপর গ্রুপের নেতাকর্মীরা হাটুভাংগা এলাকায় বিএনপি নেতা শাহ আলমের অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেন। এদিকে, এ ঘটনা শোনার পর শাহ আলমের নের্তৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ফিরোজ হায়দারের লোকজনের ওপর হামলা এবং বিএনপি অফিস দখলের চেষ্টা করলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ফলে গোড়াই এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। এ সময় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ এনামুল কবীর এবং মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।
এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা ফিরোজ হায়দার খান বলেন, “বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে সন্ত্রাসী শাহ আলম ও তার লোকজন আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।” বিএনপি নেতা শাহ আলম বলেন, “ফিরোজ হায়দার খানের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার অফিস ভাঙচুর করেছে এবং আমার ৬/৭ জন কর্মীকে মারপিট করেছে।” এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, গোড়াই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
নিউজরুম