ঢাকা (১ফেব্রুয়ারী) : পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন করা না-করার ওপর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত নির্ভর করছে না বলে মন্তব্য করেছেন কমিশনের দুই কমিশনার।শুক্রবার বিকেলে এ তথ্য জানান দুদক কমিশনার মো. বদিউজ্জামান ও মো. সাহাব উদ্দিন চোপ্পু।
এবিষয়ে মো. বদিউজ্জামান বলেন,“যে অনুসন্ধানের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করেছে, তার তদন্ত কাজ চলমান। সুতরাং তদন্ত বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্তের ওপর তদন্ত নির্ভর করছে না। তদন্ত কাজ চলবে।“ অপরদিকে, দুদকের আরেক কমিশনার মো. সাহাব উদ্দিন চোপ্পু বলেন, “পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন করবে কি করবে না, সেটি দুদকের বিবেচ্য নয়। এটি সরকারের বিষয়। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের বিষয়টি সরকার দেখবে, দুদক নয়।“
তিনি আরও বলেন, “দুদক তার তদন্ত কাজ চালিয়ে যাবে।“ উল্লেখ্য, শুক্রবার বিশ্বব্যাংক এক বিবৃতিতে জানায় যে, বাংলাদেশ পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন চায় না। বিবৃতি জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকারের পাঠানো এক চিঠিতে পদ্মাসেতু প্রকল্পে বাংলাদেশ যে, অর্থায়নের প্রস্তাব বিশ্বব্যাংককে দিয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতির বিষয়ে এখনও দুদকের স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত চায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের দুই কমিশনার শুক্রবার বিকেলে তাদের তদন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান।
প্রসঙ্গত, ২৯০ কোটি ডলারের বড় অবকাঠামোর পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুক্তি করে। ২০১১ সালের জুন মাসে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তারা অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়।
এর পর বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বব্যাংককে ফিরিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। দুর্নীতির অভিযোগে সরিয়ে দেওয়া হয় তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে। দুদক এ নিয়ে মামলাও করে। যদিও সৈয়দ আবুল হোসেনকে সে মামলার আসামি করা থেকে বিরত থাকে দুদক।
এদিকে, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বুধবার বলেন, “বিশ্বব্যাংক না এলে অন্য দাতারা থাকবেন কিনা তা নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।” এদিনই অর্থমন্ত্রী এটাও জানান, পদ্মাসেতু নিয়ে আলোচনা করতে চলতি মাসে তিনি বিশ্বব্যাংক সদর দপ্তরে যাবেন। এজন্য এর প্রেসিডেন্টের কাছে সময় চেয়েছেন তিনি। সবশেষে শুক্রবার আলোচনা-সমালোচনার ঝড়ের অবসান ঘটলো বিশ্বব্যাংকের বিবৃতির মধ্য দিয়ে।
নিউজরুম