কৃষি ডেস্ক(০১ ফেব্রুয়ারী): ফসলের উৎপাদন বাড়াতে উত্তরাঞ্চলে চাষাবাদের উপযোগী ঠাণ্ডা সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনসহ কৃষির যান্ত্রিকায়নে কোরিয়া ও বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা যৌথ উদ্যোগে কাজ শুরু করেছেন।
‘খামার যন্ত্রপাতি উন্নয়ন ও গবেষণা দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে গবেষণা দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের আওতায় কম্বাইন্ড ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার, বীজবপনযন্ত্র, ধান রোপণ, মাড়াই, মোলিং ও শস্য কাটার যন্ত্র উন্নয়নের কাজ চলছে। এর ফলে দেশে কৃষি যান্ত্রিকায়নের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ব্রি’র খামার যন্ত্রপাতি ও ফলনোত্তর প্রযুক্তি বিভাগে একটি আধুনিক গবেষণা ওয়ার্কশপ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ইয়ুন ইয়ং এটির উদ্বোধনও করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নতুন গবেষণা ওয়ার্কশপের মাধ্যমে খামার যন্ত্রপাতির গবেষণা, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ, যন্ত্রাংশ ও সরঞ্জাম সংরক্ষণ এবং ব্রি’র গবেষক ও কলাকুশলীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে যেসব মেশিনারি উন্নয়নকার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে আছে কম্বাইন্ড ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার, ধান রোপণ, মাড়াই ও মোলিং যন্ত্র উন্নয়ন। ইতোমধ্যে ব্রি’র বিজ্ঞানীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কোরিয়া থেকে এ বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। দুই দেশের গবেষকদের যৌথ প্রচেষ্টায় বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চলে চাষাবাদের উপযোগী ঠাণ্ডা সহনশীল ধানের জাতসহ বেশ ক’টি যন্ত্র উন্নয়ন ও সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্পের আওতায় কাজ চলছে।এর মধ্যে আছে রাইস মিল, হস্তচালিত বাহক যন্ত্র, সরাসরি বীজবপনযন্ত্র ও শস্য কাটার যন্ত্র।
এ বিষয়ে ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো: সাইদুল ইসলাম বলেন, ধান চাষাবাদ তথা কৃষির যান্ত্রিকায়ন এখন সময়ের দাবি। আর এ দাবি পূূূরণের লক্ষ্যেই কোরিয়া ও বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা যৌথ উদ্যোগে কাজ শুরু করেছেন। এর ফলে দেশে খামার যন্ত্রপাতি উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা
নিউজরুম