ঢাকা (১ফেব্রুয়ারী) : শুক্রবার বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের জন্মদিন। তিনি ১৯৩৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার পাচুরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দেলোয়ার ১৯৪৭ সালে মানিকগঞ্জ হাই স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি, ১৯৪৯ সালে মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজ থেকে মেধা তালিকায় দশম স্থান অধিকার করে এইচএসসি, ১৯৫২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক সম্মান ও ১৯৫৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
এরপর ১৯৫৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি করেন তিনি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র হিসেবে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন খোন্দকার দেলোয়ার। ১৯৫৭ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগদানের মাধ্যমে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন তিনি।
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন ও ১৯৭০ সালে ন্যাপ প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন।১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন দেলোয়ার।
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ১৯৭৮ সালে মানিকগঞ্জ জেলা `জাগদল`র আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী ফ্রন্টের সভাপতি নির্বাচিত হন।১৯৭৯ ও ১৯৮৯ সালে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৮৫ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন দেলোয়ার।
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর, শিবালয় ও দৌলতপুর) নির্বাচনী এলাকা থেকে ২য়, ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৮ম জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও পার্লামেন্ট মেম্বার ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ৭ম জাতীয় সংসদে বিরোধীদলের চিফ হুইপ ছিলেন এই রাজনীতিবিদ।
২০০৯ সালে বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলের পর পুনরায় মহাসচিব নির্বাচিত হন খোন্দকার দেলোয়ার। ওয়ান-ইলেভেন ও এর পরবর্তী সময়ে দলের পক্ষে সবচেয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকায় ছিলেন এই রাজনীতিবিদ। ২০১১ সালের ১৬ মার্চ বার্ধক্যজনিত রোগে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দেলোয়ার।
নিউজরুম