ঢাকা (৩১জানুয়ারী) : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কী ধরনের সরকার এবং কোন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে তা রাজনীতিবিদরাই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ।
তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেকোন পদ্ধতি ও সরকারের অধীনেই নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
২০১২ সালের হালনাগাদ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
সিইসি বলেন, গণতন্ত্রের মূল ভিত্তিই হল নির্বাচন, যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে চলমান রাখে এবং একে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য সুষ্ঠু, অবাধ ও অর্থবহ নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। আর সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পূর্বশর্ত একটি সঠিক, নির্ভুল ও হালনাগাদ ভোটার তালিকা। এলক্ষ্যকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা কার্যক্রম গ্রহণ করে।
তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২০০৭ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর ২০০৯ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। যাদের বয়স ১ জানুয়ারি ২০১০ সালে ১৮ বছর পূর্ণ হয় তাদেরকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল। এবার ২০১০, ২০১১ এবং ২০১২ সালের হালনাগাদ একসঙ্গে করা হয়েছে।
কাজী রকিব আরও বলেন, ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং যারা ভোটার হওযার যোগ্য হওয়া সত্বেও আগে ভোটার হতে পারেননি তাদের হিসাব ধরে প্রাক্কলিত ৭০ লাখ ভোটারের রেজিস্ট্রেশন পরিকল্পনা নিয়ে ভোটার হালনাগাদের কাজ শুরু হয় ২০১২ সালের মার্চ মাসে। সে অনুযায়ী হালনাগাদ কার্যক্রমের আগে ভোটারের সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ৫৮ লাখ ৫৩ হাজার ৪০০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ছিল ৪ কোটি ২৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬২৫ জন। মহিলা ভোটার ৪ কোটি ৩৩ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭৫ জন।
এবার হালনাগাদের পর ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ কোটি ২১ লাখ ২৯ হাজার ৮৫২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৪ কোটি ৬২ লাখ ১ হাজার ৮৭১ এবং মহিলা ভোটার ৪ কোটি ৫৯ লাখ ২৭ হাজার ৯৮১ জন। ভোটার স্থানান্তর হয়েছে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৪ জন। মৃত ভোটার কর্তন হয়েছে ৭ লাখ ৪১ হাজার ৬৯ জন। অবিতরণযোগ্য পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়েছে ৩৮ লাখ ২৬ হাজার ৮৯২টি। হালনাগাদে নতুন ভোটার হয়েছে ৭০ লাখ ১৭ হাজার ৫২১ জন।
নতুন ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রদান করা হবে বলেও জানান সিইসি।
সংবাদ সম্মেলনে সিইসি বলেন, ছবিসহ ভোটা তালিকা একটি জাতীয় আমানত। হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হলেও এখনও যে কেউ ভোটার হতে পারবেন। তবে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ভোটার হওয়া ও স্থানান্তর সম্ভব হবে না।
জাতীয় সংসদের সীমানা নির্ধারণ সম্পর্কে সিইসি বলেন, সীমানা নির্ধারণের বিষয়ে নতুন কোন আপডেট নেই। তবে শিগগিরই খসড়া প্রকাশ করা হবে।
ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আদালতের সিদ্ধান্ত পেলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কমিশন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ, নির্বাচন কমিশন সচিব ও কমিশন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নিউজরুম