৩১ জানুয়ারি, ২০১৩: আগামীকাল ১ ফেব্রুয়ারি। মহান মাতৃভাষা আন্দোলনের মাস। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকেই শুরু হচ্ছে জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত ‘জাতীয় কবিতা উৎসব’।এবার উৎসবের স্লোগান, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবি আজ কবিতার’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরে দুই দিনব্যাপী এই কবিতা উৎসবের উদ্বোধন করবেন সৈয়দ শামসুল হক। উৎসবের প্রথম দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের পাশাপাশি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ও শিল্পী কামরুল হাসানের সমাধিতেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে। এ ছাড়া উৎসবস্থলে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর একুশের গান ও উৎসব সংগীত পরিবেশন করা হবে। এবারের উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে ফয়েজ আহ্মদ ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কে।
গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এতে বক্তব্য দেন কবি মুহম্মদ সামাদ, নূরুল হুদা, হাবীবুল্লাহ সিরাজী, কাজী রোজী, তারিক সুজাত, আসলাম সানী প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই দিনের এই উৎসবে রয়েছে বিভিন্ন ভাষার কবিদের মিলনমেলা, একুশের গান, উৎসব সংগীত, স্বরচিত কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, কবিতার গান, সেমিনার ও প্রদর্শনী। বক্তারা জানান, কবিতার মাধ্যমেই যুদ্ধাপরাধ ও সব অপকর্মের প্রতিবাদ জানাতে চান তাঁরা। একাত্তরের গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের ঘৃণ্য ও গভীর ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সচেতন করার জন্য এই উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অস্ট্রেলিয়ার ছয় আলোকচিত্রীর প্রদর্শনী
বিশাল আকৃতির পাথর। আশপাশে নানা আকৃতির গাছ। ঠিক পেছনে গাঢ় অন্ধকার, একধরনের ভৌতিক আবহ। মাঝে চাঁদের ম্রিয়মাণ আলো ঠিকরে পড়ছে পাথরের বুকে-গাছে-ডালে।আলোকচিত্রে আলো-আঁধারের খেলা দেখা যাবে গুলশানের ইনটেরিয়র ডিপো গ্যালারিতে। গতকাল সন্ধ্যায় সেখানে শুরু অস্ট্রেলিয়ার সমকালীন ছয় আলোকচিত্রীর প্রদর্শনী ‘ডায়লগ’।
প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার গ্রেগ উইলকক।
ব্যতিক্রমী এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে মোট ২৬টি আলোকচিত্র। এগুলো তুলেছেন ম্যারিয়াস ড্রিউ, কেলি হাসি স্মিথ, এঞ্জেলা ক্লেইকলি, ডেভিড লয়েড, এলেন হিল ও জর্জ ডুস্টুয়া। বেশির ভাগ আলোকচিত্রে ফুটে উঠেছে নিসর্গ। যেখানে প্রকৃতি কখনো চাঁদের আলোয় সোনালি বর্ণ ধারণ করেছে, কখনো বরফে ঢেকে গিয়ে হয়েছে শুভ্র। কিছু আলোকচিত্রে ফুটে উঠেছে মানুষের অবয়ব। কয়েকটি আলোকচিত্রে ধরা পড়েছে বিমূর্ততা।
প্রদর্শনী চলবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গুলশান ১-এর ১৪ নম্বর রোডের ২ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত নতুন গ্যালারিটি প্রদর্শনীর জন্য খোলা থাকবে বেলা ১১ থেকে রাত আটটা পর্যন্ত।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ গতকাল আলোচনা ও সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে। কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ‘যুদ্ধাপরাধীর বিচার: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা অবিলম্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাস্তবায়নসহ এ দেশের মানচিত্র থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিতাড়নের দাবি জানিয়েছেন।
গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, সহসভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের ঝুনা চৌধুরী প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গণসংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ঋষিজ, ক্রান্তি, বহ্নিশিখা, দৃষ্টি, বঙ্গবন্ধু শিল্পী গোষ্ঠী, আনন্দন, স্বভূমি ও সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা।
এক ঝাঁক শিশুর ‘ইচ্ছে ডানা’
বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের শিশুতোষ পত্রিকা জল পড়ে পাতা নড়ের প্রথম বর্ষপূর্তির আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে ‘ইচ্ছে ডানা’ শীর্ষক তিন দিনের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা চলছে। এতে অংশ নিচ্ছে দৃষ্টি, বাক্ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন বয়সী শিশুরা।
গত মঙ্গলবার প্রথম দিনের অনুষ্ঠানের শুরুতেই বেঙ্গল শিল্পালয়ে চিত্রকর, ভাস্কর, কণ্ঠশিল্পী ও থিয়েটারের কর্মীদের তত্ত্বাবধানে বাক্ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুরা ছবি আঁকা।