যশোর পুলিশ-শিবির সংঘর্ষ, পুলিশ কনস্টেবল নিহত, আহত ৪

0
303
Print Friendly, PDF & Email

যশোর (৩১জানুয়ারী) : যশোরের মণিরামপুরে হরতালে জামায়াত-শিবির, পুলিশ ও ছাত্রলীগের দ্বিমুখী সংঘর্ষে চার পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যুও হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে মণিরামপুর উপজেলার গোহাটা মোড় ও গাংড়া মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত কনস্টেবলের নাম জহুরুল ইসলাম (৪০)। আহতরা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) শংকর, এসআই জিয়ারুল, কনস্টেবল নওয়াব আলী ও মোসলেম উদ্দিন। ‍এছাড়া জামায়াত কর্মী শাহ মুরাদ (৩০), ইয়াসিন আলী (৩০), জালাল উদ্দিন (২৬) ও অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৩ জন।

তবে কনস্টেবল জহুরুল সংঘর্ষ চলাকালে দায়িত্বরত অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা।
মণিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান জানান, সংঘর্ষ চলাকালে কর্তব্যরত অবস্থায় কনস্টেবল জহুরুল অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সকাল ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৭টার দিকে মণিরামপুরের গোহাটা মোড়ে জামায়াত-শিবির কর্মীরা জড়ো হয়ে মিছিল বের করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ মিছিলে বাধা দিলে শিবির কর্মীরা তাদের ওপর বেপরোয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।

এতে মণিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শংকর, এসআই জিয়ারুল, কনস্টেবল নওয়াব আলী ও মোসলেম উদ্দিন আহত হন। পরে পুলিশ জামায়াত শিবির কর্মীদের ধাওয়া করে। এরপর আশপাশে থাকা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা মিছিলকারীদের ধাওয়া করলে দ্বিমুখী সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ গোহাটা মোড় থেকে গাংড়া মোড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

এ সময় দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল জহুরুল অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে এবং পরে যশোরে নেওয়ার পথে তারা মৃত্যু হয়।

সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগ ধাওয়া করে ৬/৭ জন জামায়াত-শিবির কর্মীকে মারপিট করে। এ সময় মিছিলকারীরা করলে ছত্রভঙ্গ হয়ে আশপাশের বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত হলে জামায়াত শিবির কর্মীরা ওই এলাকা থেকে সরে যায়। এলাকায় এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

নিহত কনস্টেবল জহুরুলের মরদেহ সকাল সাড়ে ৯টার দিয়ে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় যশোরের জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা, সহকারী পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন হাসপাতালে ছুটে যান।

নিউজরুম

শেয়ার করুন