বিনোদন ডেস্ক(৩০ জানুয়ারী): পাশের দেশ ভারতের সাথে সাথে সম্প্রতি আমাদের দেশেও উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে নারী নির্যাতন। সমাজের এই অবক্ষয়ের দিকটি সবার সামনে আরো স্পষ্টভাবে তুলে ধরার জন্য ‘কুকর্মের ফল সর্বদাই অভিশপ্ত পরিণতি নিয়ে ফিরে আসে’ শিরোনামে নির্মিত হয়েছে টেলিফিল্ম প্রত্যাবর্তন। জাভেদ শিমুল ও বুলবুল আহমেদের যৌথ পরিচালনায় টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন শরীফ হোসাইন পলাশ, উম্মে জান্নাত, সোনালী স্মৃতি, রাফাত কামরুল, নাবিল আহাম্মেদ, মোহাম্মদ রাসেল মিয়া, সাইফুর রহমান তপু, সায়মন শাওন প্রমুখ।
টেলিফিল্ম নিয়ে পরিচালক জাভেদ শিমুল বলেন, ‘আমরা মনে করি দর্শকেরা দৃশ্যের ফ্রেমের মধ্যে হারিয়ে যেতে পছন্দ করে, কিন্তু দৃশ্যায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, দৃশ্যায়নের পর্ব হচ্ছেÑ প্রোডাকশনের একটি অংশ অন্য একটি অংশ পোস্ট প্রোডাকশন, যার তাৎপর্য এই টেলিফিল্মটিতে দর্শক দেখতে পারবে। যদিও আমাদের দেশের বেশির ভাগ টেলিফিল্ম বা ছায়াছবি দেশের বাইরে এই অংশটি সেরে নেন। গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে অর্থাৎ সবার সাথে তাল না মিলিয়ে নিজের দেশকে সুন্দরভাবে পরিবেশন করারও এটি একটি অভিনব মাধ্যম, যদি আমরা আমাদের চলচ্চিত্র পৃথিবীর অন্যান্য দেশে প্রদর্শন করতে চাই। তবেই আমাদের সংস্কৃতি বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত হবে।’ সহপরিচালক রাকিবুল আদিল বলেন, ‘এই টেলিফিল্মটিতে স্পেশাল ইফেক্ট শুধু ভিন্নমাত্রাই যোগ করেনি বরং ছোট পর্দার জগতে একটি নতুন দিকের উন্মোচন ঘটাবে।’ টেলিফিল্মের কাহিনীতে দেখা যাবে, ‘গ্রামের অসচ্ছল একটি পরিবার কিন্তু সুখী। ভাই, ভাবী ও পরী। পরী গ্রামেরই এক স্কুলে পড়ে। সে পরীায় কৃতকার্য হওয়ায় আগের শর্ত মতে, তার ভাই তাকে ঢাকায় বেড়াতে নিয়ে আসে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ঢাকায় তাদের একমাত্র চাচার বাসায় উঠবে। কিন্তু পকেটমারের দরুন তারা ঠিকানা এবং গ্রামে ফেরার জন্য জমানো অর্থ হারায়। পরিস্থিতির শিকার হয়ে তারা একটি আশ্রয়ের খোঁজ করে।ঘটনাচক্রে তারা একদল দুর্বৃত্তের হাতে পড়ে এবং দু’জনই নির্মমভাবে প্রাণ হারায়।
তাদের মৃতদেহ পড়ে থাকে সেখানেই। লাশগুলো গলেপচে এক ধরনের ভৌতিক পরিবেশের জন্ম দেয়। মৃতদেহ থেকে বেরিয়ে আসে প্রতিশোধের তাড়নায় হিংস্র আত্মা। ধীরে ধীরে শহরের সে এলাকাটি আলোচিত হয়। এখান থেকে টেলিফিল্মের কাহিনী মোড় নেয় ভিন্ন দিকে। শিগগিরই একটি টিভি চ্যানেলে টেলিফিল্মটি প্রচার হবে বলে জানায় পরিচালক সূত্র।
নিউজরুম