৩০ জানুয়ারি, ২০১৩: বাংলাদেশে বর্তমানে সংসদীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান। নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা প্রতিষ্ঠিত করেছিলাম সংসদীয় গণতন্ত্র। ২৪ জানুয়ারি নবম জাতীয় সংসদের চতুর্থ বর্ষ অতিক্রম করল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, গত ২২ বছরেও আমরা যথার্থ গণতন্ত্রের সুফল ভোগ করতে পারছি না। জনগণ সুষ্ঠু এবং সঠিক সংসদীয় গণতান্ত্রিক সরকারের বাস্তবায়ন দেখতে পেল না।
নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে সংবিধান প্রণীত নিয়ম অনুসারে দেশ পরিচালনা করছে না। দেশের প্রধান দুটি দল পালাক্রমে দেশ পরিচালনা করছে সংবিধানকে উপেক্ষা করে। এ জন্য প্রধান দুটি দলই দায়ী। নির্বাচনের আগে প্রকাশিত ইশতেহার অনুযায়ী কোনো দলই দায়িত্ব গ্রহণ করে দেশ পরিচালনায় নিবেদিত নয়।
সংবিধান মোতাবেক সংসদ সদস্যরা রাষ্ট্রের জন্য আইন প্রণয়নের দায়িত্ব পালন করার কথা, কোনো রকম নির্বাহী দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সংসদ সদস্যরা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করছেন এবং স্থানীয় উন্নয়ন কাজে জড়িত থাকছেন, যা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।
গত চার বছরে ৩৩৭ কার্যদিবসের ২৮২ কার্যদিবসেই বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা সংসদে অনুপস্থিত থাকছেন, যা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।তা ছাড়া সংসদে লাগাতার অনুপস্থিত থেকে সর্বপ্রকার আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের অনুপস্থিতিতে সংসদে পক্ষে-বিপক্ষে কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই একতরফা পাস হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন আইন।
অতএব, সংসদ অকার্যকারিতার জন্য সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই দায়ী। একমাত্র গণতান্ত্রিক স্বচ্ছ রাজনীতির অনুশীলনই পারে এই সমস্যার সমাধান করতে।
মাহতাব আলী
মিরপুর, ঢাকা।
ক্রীড়া শিক্ষক
বর্তমান সরকারের নানা শিক্ষা সংস্কারের একটি হলো বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের বন্ধকৃত টাইম স্কেল পুনরায় চালু করা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, বেসরকারি কলেজের ক্রীড়া শিক্ষকেরা চরমভাবে অবহেলিত। কলেজের একজন ক্রীড়া শিক্ষকের বেতন স্কেল ও মাধ্যমিক স্কুলের একজন সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল একই। তা ছাড়া কলেজের ক্রীড়া শিক্ষকদের মধ্যে যাঁরা এমএ পাস, তাঁদেরও পদোন্নতির কোনো সুযোগ নেই। একজন ক্রীড়া শিক্ষক এমএ পাস হলে তাঁকে প্রভাষক পদে পদোন্নতি পেতে হলে নতুনভাবে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
তাই মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাসচিব মহোদয়ের কাছে আকুল আবেদন, কলেজের ক্রীড়া শিক্ষকদের পদোন্নতির (প্রভাষক পদে) ক্ষেত্রে নতুনভাবে নিবন্ধন পাসের পরিবর্তে তাঁদের ইনডেক্স নম্বরের ভিত্তিতেই প্রভাষক পদে পদোন্নতির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাদের সুনজর কামনা করছি।
সানোয়ার হোসেন
রাজশাহী।