শেরপুর (২৯জানুয়ারী): শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে জাতীয় সংসদের স্পিকার আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট বলেছেন, “সস্তা রাজনৈতিক ডামাডোলে বা উচ্ছৃংখল ছাত্র রাজনীতিতে নিজেদের বিলিয়ে দিলে চলবে না। আধুনিকতার চমকে রঙিন ফানুসের পেছনে দৌড়ালে চলবে না।”
মঙ্গলবার শেরপুর সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমির ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক ও উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মুহম্মদ মুহসীন আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আতিউর রহমান আতিক। এছাড়া কিশোরগঞ্জের সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন, চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান বক্তব্য রাখেন।
স্পিকার বলেন, “সস্তা রাজনৈতিক ডামাডোল বা উচ্ছৃংখল ছাত্র রাজনীতিতে নিজেদের বিলিয়ে দিলে চলবে না। দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি মমত্ববোধ থাকতে হবে। সমাজে কিছু শিক্ষিত লোক আছে যারা সমাজের ভালো না করে খারাপই বেশি করেন। তাই বুদ্ধিবৃত্তিক অসততা (Intellectual dishonesty) থেকে নিজেকে নিবৃত রাখতে হবে।”
তিনি বলেন, “আকাশ সংস্কৃতির ছোঁয়ায় সমাজ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। আধুনিকতার চমকে রঙিন ফানুসের পেছনে দৌড়ালে চলবে না। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে হবে এবং আধুনিকতার ভালো দিকগুলোকে গ্রহণ এবং মন্দ দিকগুলোকে বর্জন করতে হবে।”
স্পিকার বলেন, “শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। শিক্ষা কেউ কাউকে দিতে পারে না, এটা অর্জন করতে হয়। সরকার বা সমাজের দায়িত্ব হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। কিন্তু শিক্ষা অর্জন করতে হয় নিজেদেরই।”
তিনি আরো বলেন , “শুধুমাত্র সাজেশন ও নোট পড়ে সার্টিফিকেট পাওয়া বা জিপিএ অর্জনই শিক্ষার একমাত্র উদ্দেশ্যে হতে পারে না। প্রতিটি শিক্ষিত ব্যক্তিকে স্বশিক্ষিত হতে হবে। বুদ্ধিবৃত্তিক সততা নিশ্চিত করতে হবে।”
উল্লেখ্য, ১৮৮৭ সালে স্থানীয় জমিদার রায় বাহাদুর চারু চন্দ্র চৌধুরী এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮১ সালে এটা সরকারি হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ফলক উন্মোচন করেন স্পিকার আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট।
নিউজরুম