সংরক্ষণের উপায়ও আছে

0
171
Print Friendly, PDF & Email

জানুয়ারি, ২০১৩: ঘরের কোণে একটুখানি সবুজের আশায় যে গাছটি রাখা আছে, এই শীতে তা কতটুকু ভালো আছে? সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্য রাখা সেই গাছের ম্রিয়মাণ হয়ে যাওয়ায় কেমন খাপছাড়া লাগছে না আপনার ঘর? তবে এটাও সত্য যে আপনার ঘরে রাখা রাবারবট, ক্যাকটাস, কচুরিপানা, বড়নখা, চীনা পদ্ম সবই যেন ঝিমিয়ে পড়ে এই মৌসুমেএমনকি গ্রীষ্মকালীন অনেক গাছ মরেও যায়শীতের হিম ঠান্ডা হাওয়াই মূলত এর জন্য দায়ী
তবে সংরক্ষণের উপায়ও আছেএই অবস্থায় কী করা যেতে পারে এমন প্রশ্নে প্রকৃতিবিদ মোকারম হোসেন বলেন, ‘এই সময় গাছের পুষ্টিকর খাবার অর্থা সারমিশ্রিত মাটি, ঠিকঠাকমতো পানি দেওয়া এবং যে গাছগুলো রোদ পায় না সেগুলোকে দু-এক দিন পর পর রোদে দিয়ে ভালো রাখা যেতে পারে
শীতের সময় গাছ সুস্থ রাখতে তিনি দিয়েছেন আরও কিছু পরামর্শ
রাবারবট, ক্যাকটাস, পাতাবাহারের মতো গাছগুলোর মাটি শুষ্ক হয়ে যায় এ সময়এ জন্য এসবে নিয়মিত পানি দিতে হবেতবে লক্ষ রাখতে হবে যেন গোড়ায় পানি না জমে যায়এতে আপনার গাছটি মরে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়েরাবার প্ল্যান্টগুলোর পাতা উজ্জ্বল দেখাতে পানি দিয়ে পাতা মুছে দিতে পারেন
অনেকে কচুরিপানা, বড়নখা, গুড়িপানা সংরক্ষণ করেনএগুলো সতেজ রাখতে দু-এক দিন পর পর পানি পরিবর্তন করা ভালো, নয়তো সার ব্যবহারের ফলে পানি বিষাক্ত হয়ে পড়তে পারে
আবার এ সময় গাছের গোড়ার মাটি স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়এ জন্য মাঝেমধ্যেই এগুলো রোদে দিতে হবেসেই সঙ্গে গোড়ার মাটি নেড়েচেড়ে দিতে হবে
সারা বছরের মতো শীতের সময়ও নিয়মিত যত্ন করতে হবেগাছের পাতায় পানি স্প্রে করতে হবে, যাতে পাতায় ময়লা না জমে
পোকামাকড়ের আক্রমণ এই সময় কম হয়তবে শীতের শেষে কিংবা বসন্তের শুরুতে দেখা দিতে পারে এই আক্রমণতাই নিমপাতা সেদ্ধ পানির সঙ্গে পরিমাণমতো মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে
যেসব গাছ এ সময় ফুল দেয় না, সেগুলোর পরিবর্তে মৌসুমি ফুলের গাছ স্থাপন করা যেতে পারেজলজ শেওলাগুলো এ সময় মরে যায়তাই শীতের সময় এ জায়গায় অন্য গাছ রাখা যেতে পারেআরেকটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে, যেসব গাছ এ সময় বাড়ে না, সেগুলাতে সার কিংবা অন্য ওষুধ দিয়ে বাড়ানোর চেষ্ট করার দরকার নেই, এতে গাছের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে

 

শেয়ার করুন