ঢাকা ( ২৮জানুয়ারী) : জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে দেওয়া রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের উদ্বোধনী ভাষণকে আওয়ামী লীগের দলীয় ভাষণ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম।
একই সঙ্গে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে থেকে এ ধরণের ভাষণ অশোভন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর বিএনপির এক যৌথসভায় দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় “এমন প্রতিবাদ করা হবে, যে প্রতিবাদের ঝড়ে এ সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী” বলেও মন্তব্য করেন তরিকুল।
‘যথাসময়ে নির্বাচন হবে, কে এলো বা কে এলো না’ প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করে তরিকুল বলেন, “ক্ষমতায় যখন থাকে তখন অনেক কথা বলা যায়।”
প্রধানমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। এই নির্বাচনে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেবে এবং দেশ-বিদেশে সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে। এর বাইরে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো পাতানো নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না এবং বাংলার মাটিতে হতেও দেবে না।”
তিনি বলেন, “সরকার যতো দ্রুত পদত্যাগ করবে দেশের জন্য ততোই মঙ্গল।”
সংসদে চার বছরে বিরোধী দল ব্যর্থ হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতি যে ভাষণ দিয়েছেন তারও কঠোর সমালোচনা করেন তরিকুল।
তিনি বলেন, “এটা কোনো রাষ্ট্রপতির ভাষণ নয়, তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় ও লিখিত ভাষণ পাঠ করেছেন মাত্র। এমন বক্তব্য অশোভন।”
দেশবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “দেশে হত্যা, খুন, গুম, নির্যাতন, নিপীড়নের প্রতিবাদ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সরকারের বিরুদ্ধে ঝড় তুলতে হবে।”
নয়াপল্টনে মঙ্গলবারের জনসভা সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে যৌথসভায় আরো ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুস সালাম, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
নিউজরুম