ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১৩ ককটেল বিস্ফোরণ

0
671
Print Friendly, PDF & Email

ঢাকা (২৮জানুয়ারী) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সোমবার সকাল থেকেই চলছে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ। এ পর্যন্ত ১৩টি ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের কাছে বেলা ১২টা ১০ মিনিটে দিকে নির্মাণাধীন সমাজবিজ্ঞান ভবনের সামনে চারটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এর আগে ১২টার দিকে কলা ভবনের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বসুনিয়া গেটে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কার্জন হল এলাকায় পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এসময় ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে রয়েল নামে এক ছাত্রদল কর্মীকে আটক করে ছাত্রলীগকর্মীরা। এরপর তাকে মারধর করে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ছাত্রলীগ। আহত রয়েল এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জানান, রয়েলকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখলে ছাত্রলীগকর্মীরা তার পরিচয় জানতে চান। তখনই চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান রয়েল। বিস্ফোরণে কামাল নামে এক ছাত্রলীগকর্মী আহত হয়।

ঢাবি ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি মেহেদি হাসান মোল্লা জানান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষে যে কোনো মুহূর্তে রায় হতে পারে। তাই ছাত্রদলকে নিয়ে ছাত্রশিবির ক্যাম্পাসসহ সারা দেশ অস্থিতিশীল করে তুলতে চায়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার তারা ঢাবিতে বোমা হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে।তিনি আরও বলেন, “আমরা ছাত্রলীগ কর্মীরা মাঠে আছি, তাদের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করবো।”

অন্যদিকে ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সভাপতি মহীদুল হাসান হিরু বলেন, “আমরা নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে চেয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ছাত্রলীগ ও পুলিশ মিলে আমাদের অগণতান্ত্রিক ও ন্যাক্কারজনকভাবে বাধা দিচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।”

ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, “ছাত্রদল শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাস করে। আমাদের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এসবের সঙ্গে জড়িত না।”

তিনি উল্টো ছাত্রলীগই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন।  

এ বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর আমজাদ আলী বলেন, “যে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি রুখে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।”

নিউজরুম

শেয়ার করুন