কৃষি ডেস্ক(২৮ জানুয়ারী): পেঁয়াজের দাম কম হওয়ায় পাবনার সাঁথিয়া ও সুজানগর উপজেলার চাষিদের উৎপাদনেরখরচই উঠছে না। এই দুই উপজেলায় প্রায় এক মাস আগে বাজারে নতুন পেঁয়াজ ওঠাশুরুর পর থেকেই দাম কমে যায়। এই অবস্থায় গত বছরের মতো এবারও লোকসানেরআশঙ্কা করছেন চাষিরা।
মাস খানেক আগেও প্রতি মণ পেঁয়াজ এক হাজার ৬০০ থেকেএক হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দাম কমতে কমতে ২৪ জানুয়ারি প্রতি মণপেঁয়াজের দাম এসে দাঁড়িয়েছে ৬৫০ থেকে ৯০০ টাকায়।
সংশ্লিষ্ট কৃষিকার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সুজানগর ও সাঁথিয়ায় মূলকাটা এবং হালি পদ্ধতিতেপেঁয়াজের আবাদ হয়। প্রায় এক মাস ধরে মূলকাটা পদ্ধতিতে আবাদ করা নতুন পেঁয়াজউঠতে শুরু করেছে।
পেঁয়াজচাষিরা জানান, গত বছর দাম কম থাকায় তাঁদেরলোকসান হয়েছে। বীজ, শ্রমিকের মজুরি ও ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবারউৎপাদনের খরচ বেড়ে গেছে। চাষিদের হিসাব অনুযায়ী, এবার প্রতি মণ পেঁয়াজেরউৎপাদন খরচ ৮০০ টাকার ওপরে। নতুন পেঁয়াজ ওঠার প্রথম সপ্তাহে পেঁয়াজচাষিরাউৎপাদনের খরচের চেয়ে দ্বিগুণ দামে পেঁয়াজ বিক্রি করে খুশি হয়েছিলেন। কিন্তুএখন পেঁয়াজ বেচে অনেক চাষির উৎপাদন খরচও উঠছে না।
চাষি ও ব্যবসায়ীরাজানান, ১৯ জানুয়ারির হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ এক হাজার থেকে এক হাজার ৩০০টাকায় বিক্রি হয়েছে। অথচ মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি৪০০ টাকা কমেছে। ২৪ জানুয়ারি সাঁথিয়ার কাশীনাথপুর হাটে পেঁয়াজ বিক্রি করতেআসা শহীদনগর গ্রামের আবদুল আলীম বলেন, ‘কয়দিন আগেও পিঁয়্যাজের ভালো দামছিল। কিন্তু ধপ কইর্যা দাম কুমায় এখন লসের মুখ দেখা লাগত্যাছে।’ পেঁয়াজব্যবসায়ী আবদুর রহমান বলেন, ‘এক মাসে পেঁয়াজের দাম প্রায় অর্ধেকে নেমেএসেছে। প্রতি হাটেই দাম কমায় আমরাও (ব্যবসায়ীরা) লোকসান দিচ্ছি।’
সাঁথিয়াউপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন জানান, মূলকাটা পেঁয়াজের ফলন এবারভালো হয়েছে। এবার প্রতি মণ পেঁয়াজ উৎপাদনের খরচ ৮০০ টাকার কাছাকাছি। বাজারেপেঁয়াজের দাম এর কম হলে কৃষকের লোকসান হবে।
নিউজরুম