কৃষি ডেস্ক(২৮ জানুয়ারী): চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহব্যবস্থা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। জাতীয়গ্রিডের পাশাপাশি চট্টগ্রামের দুটি উৎস থেকেও গ্যাসের প্রাপ্তি কমে গেছে। এঅবস্থায় পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ না পাওয়ায় চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা (সিইউএফএল) বন্ধ হয়ে গেছে। গ্যাসের অভাবে সকাল থেকে একটানা বিকেল পর্যন্তনগরের বেশির ভাগ এলাকায় গৃহস্থালির চুলা জ্বলছে না। শহরের বিভিন্নকারখানায়ও গ্যাসের চাপ কমে গেছে। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (কেজিডিসিএল) সূত্রে জানা যায়, সাগরবক্ষের একমাত্র গ্যাসক্ষেত্র সাঙ্গুথেকে গ্যাস প্রাপ্তি একেবারে নিম্ন পর্যায়ে এসেছে। গতকাল রোববার এখান থেকেমাত্র ১১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যায়।
কেজিডিসিএলের বিতরণ বিভাগের এককর্মকর্তা বলেন, সাঙ্গুর সরবরাহব্যবস্থা যে পর্যায়ে নেমে গেছে, তাতে যেকোনোসময় গ্যাসক্ষেত্রটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সাঙ্গু ছাড়াও খাগড়াছড়িতে অবস্থিতসামুতাং গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। গতকাল এখান থেকে পাওয়াযায় মাত্র আট মিলিয়ন ঘনফুট। ২০১১ সালের জুন মাসে এটি চালু হওয়ার পরসর্বোচ্চ ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া গিয়েছিল। তবে এক বছর পর থেকে এখানেওউৎপাদনের পরিমাণ কমতে থাকে। কেজিডিসিএলের সচিব চৌধুরী আহসান হাবিব বলেন, ‘চট্টগ্রামের প্রচণ্ড গ্যাস-সংকটের মধ্যে সামুতাং ও সাঙ্গু থেকে যেটুকুপাওয়া যাচ্ছে, সেটাকেই আমরা লাভ হিসেবে ধরে নিচ্ছি।’
জানা যায়, গতকালচট্টগ্রামে সব মিলিয়ে গ্যাসের সরবরাহ ছিল ২০৯ মিলিয়ন ঘনফুট। তবে জাতীয়গ্রিডের গ্যাস চট্টগ্রামে আসার আগেই চাঁদপুরে বিদ্যুৎকেন্দ্র সেখান থেকে ২৩মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস টেনে নেয়। অবশিষ্ট গ্যাস থেকে কাফকোতে সরবরাহ দেওয়া হয়৫০ মিলিয়ন ঘনফুট। সিইউএফএল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে সেখানে মাত্র ১০মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে।
আসন্ন বোরো মৌসুমের জন্য সরকারকাফকো থেকে সাড়ে চার লাখ টন ইউরিয়া সার আন্তর্জাতিক দরে কিনে নিচ্ছে বলেজানা গেছে। সিইউএফএল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রামেরশিকলবাহা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ দিচ্ছে।
জানা যায়, সাঙ্গুথেকে পাওয়া পুরো গ্যাসই বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করতে হচ্ছে কেজিডিসিএলকে।কারণ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রামের বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহের জন্যসাঙ্গুর গ্যাস দেশের বাজারমূল্যের চেয়ে অধিক দামে কিনে নিয়েছে।
সরকার ইতিপূর্বে সাঙ্গু থেকে প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাস ২ দশমিক ৭০ ডলারে কিনে নিত। বর্তমানে পিডিবি তা পাঁচ ডলারে কিনে নিচ্ছে।
নিউজরুম