স্পোর্টস ডেস্ক(২৭ জানুয়ারী): বাংলাদেশ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দেওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)সংশোধিত গঠনতন্ত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের স্থগিতাদেশচেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করা হয়।
আজদুপুরে চেম্বার বিচারপতির আদালতে এ আবেদনটি শুনানির জন্য দাখিল করা হবেবলে প্রথম আলো ডটকমকে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক।
গতকালবিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আবদুর রব সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চবাংলাদেশ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দেওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)সংশোধিত গঠনতন্ত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন। হাইকোর্টের দেওয়া ওইরায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে আজ আবেদন করা হয়েছে।
২০১২ সালে বিসিবিরগঠনতন্ত্রে দুবার সংশোধনী আনা হয়। প্রথম সংশোধনীটি আনার পর বার্ষিক সাধারণসভার অনুমোদন ছাড়াই গত ২৯ নভেম্বর গঠনতন্ত্রে দ্বিতীয়বারের মতো সংশোধনীআনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। দ্বিতীয় সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেবিসিবির সাবেক পরিচালক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন এবং জেলা ও বিভাগীয়ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সভাপতি ইউসুফ জামিল গত ডিসেম্বরে রিট আবেদন করেন।প্রাথমিক শুনানির পর গত ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। একই সঙ্গেসংশোধিত গঠনতন্ত্রের ওপর স্থগিতাদেশও দেওয়া হয়। রুলের ওপর চূড়ান্তশুনানি শেষে গতকাল রায় দেন আদালত।
গতকাল রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেনআইনজীবী মাহবুব শফিক ও কে এম হাফিজুল আলম। ক্রীড়া পরিষদের পক্ষে ছিলেনঅ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক।বিসিবির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শেখ ফজলে নূর তাপস ও মো. মেহেদী হাসান চৌধুরী।
সংশোধিতগঠনতন্ত্রে তিন শ্রেণীতে ক্রিকেটারদের সরাসরি বিসিবির কাউন্সিলর হওয়ারবিধান রাখা হয়েছে। সভাপতি মনোনীত সাবেক ক্রিকেটার থাকবেন পাঁচজন, এনএসসিমনোনীত ১০ জন ও ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াব মনোনীত একজন সাবেক ক্রিকেটারবিসিবির কাউন্সিলর হতে পারবেন।
আইনজীবী হাফিজুল আলম গতকাল প্রথম আলোকেজানান, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আনা ওই সংশোধিত গঠনতন্ত্র অবৈধ ঘোষণা করেছেনআদালত। পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্রে জাতীয় ক্রীড়াপরিষদ সংশোধনী আনতে পারে না। ফলে ২০১২ সালের সংশোধিত ওই গঠনতন্ত্র বাতিল ওঅকার্যকর হয়ে গেছে। ২০০৮ সালের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এখন বিসিবি পরিচালিতহতে বাধা নেই।
নিউজরুম