নতুন মামলায় ফখরুলকে দুই মাস গ্রেফতার না দেখানোর নির্দেশ

0
140
Print Friendly, PDF & Email

ঢাকা (১২জানুয়ারী) : যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নতুন মামলায় ২ মাস গ্রেফতার না দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে জামিন পাওয়ার পর যথাযথ আদালত কর্তৃক ইস্যু করা গ্রেফতারি পরোয়ানা ও আইনের যথাযথ বিধান ছাড়া মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার না করার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চান আদালত।

দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ, বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতের ডিসি (প্রসিকিউশন), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ঢাকার আইজি (প্রিজন), লালবাগ ও উত্তরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার, গাজীপুরের এসপি ও কাশিমপুর কারাগার-২-কে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান।

আদেশের পর ব্যারিস্টার রফিক-উল হক সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব গ্রেফতার আছেন। তিনি কোনো মামলায় জামিন পেলেও তাকে বার বার শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। তাই, আদালত যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া মির্জা ফখরুলকে নতুন মামলায় ২ মাস গ্রেফতার না দেখানোর অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালত ২ সপ্তাহের রুল জারি করেছেন বলেও জানান তিনি। ১৪ ফেব্রুয়ারি রুলের পরবর্তী শুনানি হবে।

২০ জানুয়ারি হাইকোর্টে এ রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।

উল্লেখ্য, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে অন্তরীণ রয়েছেন। গত ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ওই দিন তাকে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে পল্টন থানার একটি মামলায় এবং শেরেবাংলা নগর থানার আরেকটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

এ দুটি মামলা দায়ের করা হয়, ৯ ডিসেম্বর অবরোধ কর্মসূচির দিন।

এছাড়া অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মোট ৩৭টি মামলা করা হয়।

পল্টন ও শেরেবাংলা নগর থানায় করা ২ মামলায় মির্জা ফখরুল ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। পরে মতিঝিল থানায় ও সূত্রাপুর থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। মির্জা ফখরুলের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হলে সূত্রাপুর থানার মামলায় তাকে জামিন দেন আদালত।

অন্যদিকে মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।এদিকে, গত বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে আরও দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।

এসময় রাজধানীর পল্টন ও কলাবাগান থানার দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় মির্জা ফখরুলকে। তবে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর না করে তাকে জেল-হাজতে পাঠিয়ে দেন।

এর আগে গত বছরের ২৯ এপ্রিল দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার ঘটনায় সারা দেশে হরতাল পালনের দিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে একটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও সচিবালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় তেজগাঁও ও রমনা থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়।

ওই দুই মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ১৮ দলের ৩৩ জন শীর্ষস্থানীয় নেতা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে নেওয়া হয়। সে সময় প্রায় মাসখানেক কারাগারে ছিলেন মির্জা ফখরুল। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি।

নিউজরুম

শেয়ার করুন