ঢাকা (২৭জানুয়ারী) : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গঠনতন্ত্রে আনা সংশোধনকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আব্দুর রবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক ও অ্যাডভোকেট কেএম হাফিজুল আলম রানা।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও বিসিবির পক্ষে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস। ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক জানান, এ রায়ের ফলে সংশোধিত গঠনতন্ত্র বাতিল বলে গণ্য হবে এবং ২০০৮ সালের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিসিবি পরিচালিত হবে। গত বছরের নভেম্বরে গঠনতন্ত্রের সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বিসিবির সাবেক পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোবাশ্বের হোসেন এবং বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সভাপতি ইউসুফ জামিল বাবু। এ রিটের প্রেক্ষিতে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর আদালত রুল জারি করেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে রোববার আদালত সংশোধনী অবৈধ বলে রায় দেন। আবেদনকারীদের দাবি, বিসিবির বিশেষ সাধারণ সভায় কাউন্সিলরদের মতামত নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কাছে গঠনতন্ত্র পাঠানো হয়েছিল। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গঠনতন্ত্র যাচাই বাছাই করে সংশোধন করে বিসিবিতে ফেরত পাঠায়।
ফের বিসিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে গঠনতন্ত্র সংশোধন করে এনএসসি। বিসিবির বর্তমান গঠনতন্ত্র প্রসংঙ্গে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সভাপতি কুমিল্লা জেলার ইউসুফ জামিল বাবু বলেন, “যে প্রক্রিয়ার গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনা হয়েছে, এটি সঠিক হয়নি। এখানে একটি সাধারণ সভার সিদ্ধান্তকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুমোদনের ক্ষেত্রে সবাইকে বাদ দিয়ে যা করা হয়েছে, তা অগণতান্ত্রিক।
তাছাড়া ঢাকার প্রিমিয়ার ক্রিকেটের সুপার লিগে খেলা ছয় ক্লাবের দুই জন করে কাউন্সিলর নির্বাচন করাটা একেবারেই যুক্তিসঙ্গত না। সুপার লিগ প্রিমিয়ার লিগেরই একটি অংশ। আর্থিক পুরস্কার আর ফিক্সারের সুবিধা ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্রে সব ক্লাব অভিন্ন সুবিধা পাবে এটাই স্বাভাবিক।”
নিউজরুম