রুপসীবাংলা ডেস্ক: রাজবাড়ী জেলার পাংশা পৌরশহরে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেন নির্মাণকাজে নিম্নমানের ইট ও খোয়া ব্যবহার করায় বিভিন্ন মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় পাংশা পৌরসভার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য ড্রেন নির্মাণ প্রকল্পে এক কোটি ৯৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে পাঁচটি গ্রুপের কাজ শুরু হয়।
কাজ শুরুর দিন থেকেই নিম্নমানের নম্বরবিহীন ইট ও ইটের খোয়া দেখে জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। অভিযোগ আছে, প্রকল্পের কাজে নিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নিয়োজিত ব্যক্তিরা পৌরসভা মেয়রের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় নির্মাণকাজে নিম্নমানের ইট ও খোয়া ব্যবহার করা হলেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষসহ প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা নিশ্চুপ রয়েছেন।
পাংশা পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) সাজেদুল আলমকে না জানিয়ে প্রকল্পের টেন্ডার নোটিশসহ সব কাজকর্ম পরিচালনা করছেন উপসহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আজিবর রহমান। তার উপস্থিতিতেই নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোাগ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পৌরসভার প্যানেল মেয়র ওদুদ সরদার খুবই নিম্নমানের ইট ও খোয়া ব্যবহার করে চলমান ড্রেন নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্থানীয় বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দসহ বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ড্রেন নির্মাণের কাজ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী মো: আজিবর রহমান নিম্নমানের কাজের ব্যাপারে মোবাইলে কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সাজেদুল আলম বলেন, ড্রেন নির্মাণকাজে ব্যবহৃত নির্মাণসামগ্রীর মান রাজবাড়ী এলজিইডির ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষা করার জন্য গত রোববার মেয়র ওয়াজেদ আলী মণ্ডল সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের পত্র দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, টেস্টিং রিপোর্ট এলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কাজ শুরুর আগে কেন ইট ও খোয়া পরীক্ষা করা হয়নি সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।