ঢাকা (২৭জানুয়ারী) : আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই ইডেন কলেজের ছাত্রী শারমিন আক্তার আঁখির ওপর এসিড ছুড়ে মারা মামলার প্রধান আসামি মনির উদ্দিন গ্রেফতার হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, “মনিরকে গ্রেফতারে আইন-শৃংখলা বাহিনীর ভূমিকা উৎসাহব্যঞ্জক।”
সকালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার আদালতকে জানান, আঁখির ওপর এসিড নিক্ষেপের ঘটনার মূলহোতা মনিরকে রাঙামাটি থেকে আইন-শৃংখলা বাহিনী গ্রেফতার করেছে। অপর আসামি মাসুমকে ধরতেও কাজ করছে।
রোববার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
গত রোববার হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে আদালতে এ আবেদনটি দায়ের করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
এর আগে গত রোববার মনির ও মাসুমকে গ্রেফতারে পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেধে দেন হাইকোর্ট। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি বলে বুধবার আদালতকে অবহিত করেন পুলিশের বংশাল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল হাসান।
এরপর আদালত উপরোক্ত নির্দেশ দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, “৪৮ ঘণ্টা পার হয়েছে। আরো ৪৮ ঘণ্টা সময় দিলাম। এরপরে সে একই ধরনের কথা আমি আর শুনবো না।”
এ নির্দেশের একদিন পর বৃহস্পতিবার রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলা থেকে মনির উদ্দিনকে গ্রেফতার করে রাঙামাটি পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জানুয়ারি বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় হওয়ায় রাজধানীর চাঁনখারপুলের কাজী অফিসের ভেতরে শারমিন আক্তার আঁখিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এসিডে ঝলসে দেয় প্রেমিক মনির। ওই ছাত্রী এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
আঁখি ইডেন কলেজের বাংলা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী। তিনি রাজধানীর সার্কিট হাউস অফিসার্স কোয়ার্টারে থাকেন। হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরে তার গ্রামের বাড়ি বলে জানা গেছে।
নিউজরুম