ঢাকা (২৭জানুয়ারী) : গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফুটবল ম্যাচে দাঙ্গায় ৭৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ২১ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে আদালতের দেওয়া রায়কে কেন্দ্র করে মিশরের পোর্ট সৈয়দে প্রাণঘাতী সহিংসতায় নিরাপত্তাবাহিনীর ২ সদস্যসহ ২৬ জন নিহত হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানায়, শনিবার আদালতের রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্তদের সমর্থকরা জেল ও পুলিশি হাজত ভেঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রতিবেদনটি লেখার সময় পোর্ট সৈয়দের রাস্তায় রাস্তায় সেনা মোতায়েন করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, স্বৈরাচার মোবারক পতনের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে শুক্রবার মিশরজুড়ে উল্লাস প্রকাশ করে জনতা। এ সময় ধর্মনিরপেক্ষ বিরোধীদলের সমর্থকরা প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির সমর্থক ব্রাদারহুডের কর্মী ও নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮ জন নিহত হয়। আহত হয় প্রায় পাঁচ শতাধিক।
সংবাদ মাধ্যম জানায়, গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি মিশরের উত্তর পূর্বাঞ্চলের বন্দর নগরী পোর্ট সৈয়দের স্টেডিয়ামে একটি ফুটবল ম্যাচে মুখোমুখি হয় স্থানীয় আল মাস্রি ও কায়রোর আল আহলি ফুটবল দল।
এ সময় ভুল বোঝাবুঝির জের ধরে মাঠে নেমে পেড়ে স্থানীয় ক্লাবের ফুটবল সমর্থকরা। এক পর্যায়ে প্রাণঘাতী সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ।
ফুটবল মাঠের ঐ ভয়াবহ সংঘর্ষে ৭৪ জন ব্যক্তি নিহত হয়। এই ন্যাক্কারজনক দাঙ্গা শুধু মাঠেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। পুরো কায়রো জুড়ে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে নিহত হয় আরও ১৬ জন।
এ ঘটনার জন্য সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের রাজনৈতিক সমর্থনপুষ্ট ফুটবল দলকে দায়ী করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পুলিশ জানায়, তুচ্ছ ঘটনা দাঙ্গায় রূপ দিতে প্ররোচনা দেয় মোবাকর সমর্থকরা।
এ ঘটনার জের ধরে ফুটবল লীগটি স্থগিত করতে বাধ্য হয় আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
ঐ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭৩ জনকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত বাকি ৫২ জনের ব্যাপারে আগামী ৯ মার্চ রায় দেবেন আদালত।
নিউজরুম