ঢাকা (২৭জানুয়ারী) : বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা বা অসত্য কথা বলতে পারেন না, এটাই দেশের মানুষ আশা করে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জনগণকে আশাহত করে হরহামেশা মিথ্যা ও অসত্য কথা বলছেন। জনগণ বড্ড হতাশ। আর হতাশার মধ্যেই বিক্ষোভের জন্ম।
এই বিক্ষোভ কাউকে ছাড় দেয় না, আপনারাও ছাড়া পাবেন না।শুক্রবার কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকায় বসবাসরত ভোলা জেলা বিকল্পধারা ও ছাত্রধারার সদস্যদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এম. শাকিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিকল্পধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, অধ্যাপক আসাদুজ্জামান বাচ্চু, অধ্যাপক একরামুল হক, ওয়াসিউল হক চৌধুরী, ফয়েজ চৌধুরী, সাগর চৌধুরী, রবিউল ইসলাম, মাহতাব উদ্দিন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
বি. চৌধুরী বলেন, কুইক রেন্টালের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। ৮/৯ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো। কিন্তু ৩০ ভাগ মানুষের বাড়ি-ঘরে বিদ্যুৎ নেই। সর্বশেষ জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে পরিবহন ব্যয় বাড়ানো হলো, এতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বেড়ে গেল। কৃষক রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদন করেও ন্যায্য দাম পেল না। আগুনে পুড়ে শতাধিক গার্মেন্ট শ্রমিক মারা গেল, শ্রমিক ও রাজনৈতিক নেতাদের গুম করা হলো কিন্তু এত কিছুর পরও কি প্রধানমন্ত্রী আপনার দলের পক্ষে জনগণের কাছে ভোট চাইতে পারেন? আপনার দলের লোকজন গ্রামে-গঞ্জে ভোট চাইতে গেলে কৃষক ও গার্মেন্ট শ্রমিকের মা-বাবা চিৎকার করে উঠবে।
তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় চীফ হুইপকে নির্যাতনকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে তিরস্কারের পরিবর্তে পুরস্কৃত করা হলো, আন্দোলনের সময় শিক্ষকদের চোখে পিপার স্প্রে মারায় একজন শিক্ষক মারা গেলেন। কিন্তু বিষয়টি পুলিশের মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা অস্বীকার করলেন। যা খুবই লজ্জার বিষয়। শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশকে ছেড়ে দেওয়া হলো, তাকে কী আরো বিকশিত হওয়ার জন্য?
নিউজরুম