ঢাকা (২৬জানুয়ারী) : আওয়ামী লীগ কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম।
‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে ১৮ দলীয় জোট আয়োজিত সমাবেশে দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তরিকুল বলেন, “১৪টি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হয় মাত্র ১১ মিনিটে। চারটি ছাড়া সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাক স্বাধীনতা হরণ করা হয়। ভোটের অধিকার ধ্বংস করে দেওয়া হয়। সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে সেই একদলীয় শাসনের অবসান ঘটে। পরে জিয়া ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।”
তিনি বলেন, “সরকার নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। ২০২১ সাল, কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চায়।”
“আওয়ামী লীগ ১১ মিনিটে সেদিন সংবিধান তছনছ করে দিয়েছিলো” মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আজ সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে শহীদদের রক্তে গড়া বহুদলীয় গণতন্ত্র তারা ধ্বংস করতে চায়। তারা বহুদলীয় গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা রাখতে চায় না। তাই যিনি গণতন্ত্রের পক্ষে বলছেন, তিনি খারাপ হয়ে যাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে বলায় সাংবাদিক এবিএম মুসাকে তারা বলেছেন উন্মাদ, কাদের সিদ্দিকীকে বলেছেন রাজাকার। ড. কামাল হোসেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও আকবর আলি খানকে বলেছেন খারাপ লোক। তাদের পক্ষে বললে হয় মুক্তিযোদ্ধা, আর বিপক্ষে বললে রাজাকার।”
তরিকুল বলেন, “আওয়ামী লীগের হলে সালফিউরিক এসিডও মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যাবে। আর তাদের না হলে রাজাকার হয়ে যাবে।”
সরকারকে সতর্ক করে তিনি বলেন, “জেদাজেদির পথ ছেড়ে দিন। মানুষ সব কিছু বুঝতে পারছে। আপনারা জনগণের টাকায় জেলায় জেলায় জনসভা করছেন, করেন। তারপরও নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। ষড়যন্ত্র ও নীল নকশার নির্বাচন প্রতিহত করা হবে। আজ হোক, কাল হোক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গণঅভ্যুত্থান ঘটানো হবে। জনগণ দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে দেবে না।”
এ সময় নেতাকর্মীদের সরকারে বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ার শপথ নেওয়ার আহবান জানান তরিকুল।
ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তৃতা করেন-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, মির্জা আব্বাস, ভাইস-চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর জামায়াত আমীর হামিদুর রহমান আজাদ, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ নেজামী, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম নেতা মুফতি ওয়াক্কাস, এনপিপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন নীলু প্রমুখ।
নিউজরুম