মুন্সীগঞ্জ (২৪জানুয়ারী) : মুন্সীগঞ্জে পৃথক স্থান থেকে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তিন যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে। পুলিশের ধারণা, বুধবার গভীর রাতে হত্যা করে তাদের লাশ ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া ব্রিজের নিচে একটি, ১০০ দূরে আরেকটি ও শ্রীনগরের বাড়ৈইখালি-সিধরপুর সড়কের পাশে তৃতীয় লাশটি উদ্ধার করা হয়। গুলি করার ধরন দেখে পুলিশ জানিয়েছে, তিন হত্যাকাণ্ডের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে।
সকাল সোয়া ৮টার দিকে রশুনিয়া ব্রিজের নিচে উদ্ধার করা মৃতদেহটির পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম ইব্রাহীম (২৫)। তার মাথায় তিনটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। তিনি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার নওপাড়া গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, ইব্রাহীম ঢাকার জুরাইন এলাকার দারোগা বাড়ি রোডে তার মামা সালাউদ্দিন মিয়ার বাড়িতে থাকতেন। গত ১৬ জানুয়ারি কাতার যাওয়ার জন্য ডাক্তারি পরীক্ষা করতে গিয়ে নিখোঁজ হন ইব্রাহীম।
সিরাজদিখান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকার কদমতলী এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল হত্যা মামলার আসামি ছিলেন ইব্রাহীম। একই মামলায় আটক সজীব পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ইব্রাহীমের নাম প্রকাশ করে।
রশুনিয়ায় পাওয়া আরেক লাশ সম্পর্কে (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, রশুনিয়া ব্রিজ থেকে ১০০ গজ দূরে বেলা ১২টার দিকে অপর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তার পরিচয় পাওয়া না গেলেও তিনি ইব্রাহীমের সহযোগী বলে ধারণা করছে পুলিশ। বিষয়টি ঢাকার কদমতলী থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে বাড়ৈইখালী-সিধরপুর সড়কের পাশ থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সিরাজদিখানে উদ্ধার হওয়া গুলিবিদ্ধ দুই লাশের সঙ্গে এ যুবকের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
তিনি জানান, এ যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তার মাথায় ও গলায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া গামছা দিয়ে তার চোখ বাঁধা ছিল।
নিউজরুম