ঢাকা (২৪জানুয়ারী) : ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার পঙ্কজ শরণ বলেছেন, তিস্তার পানি প্রবাহে কোনো বাধা সৃষ্টি করছে না ভারত। বৃহস্পতিবার ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের সবক’টি সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি যৌথ মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তিস্তার পানি অব্যাহতভাবেই বাংলাদেশের দিকে আসছে, এতে কোনা বাধা দেওয়া হচ্ছে না। তবে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি অবশ্যই হবে।
ভারতীয় হাই কমিশনার আরও বলেন, গণতন্ত্র শুধু নির্বাচনে সীমাবদ্ধ থাকার বিষয় নয়, সমাজ ও রাজনীতির সকল পর্যায়ে গণতন্ত্রের কার্যকর প্রয়োগ প্রয়োজন।
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার পর পরই তিনি রাজধানীর বসুন্ধরাস্থ ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া কার্যালয়ে পৌঁছান। তাকে স্বাগত জানান বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। ভবনের মূল ফটকে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অভ্যর্থনা জানান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন, দৈনিক কালেরকণ্ঠ’র সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম ও ডেইলি সান এর সম্পাদক আমীর হোসেন।
পরে ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া হাউজের কনফারেন্স হলে মতবিনিময় সভায় স্বাগত ভাষণ দেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে স্বাধীন মিডিয়া বড় স্তম্ভ হিসেবে কাজ করে। তিনি ভারতীয় হাইকমিশনারকে তার মূল্যবান সময়ের মধ্যে ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো পরিদর্শনে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান।
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, “দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন ও আদানপ্রদানের পথ বের করতে গণমাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যমে আমাদের আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।” তিনি বলেন, “উন্নয়নশীল দেশের গণতন্ত্র চর্চায় আমরা মুক্ত ও কার্যকর সংবাদ মাধ্যমের ওপর জোর দিয়ে থাকি। ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড প্রতিষ্ঠার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে, একটি স্বাধীন, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা। আমরা জনগণের পক্ষে কথার বলার জন্য অত্যন্ত দৃঢ়বদ্ধ। একইসঙ্গে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালীকরণে জোর দিচ্ছি।”
হাইকমিশনার তার ভাষণে আরও বলেন, ১৯৭১ সালের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কের উত্থান-পতন রয়েছে। বাংলাদেশে এসে আমি দেখেছি, যুব সমাজ এখন তার ভাগ্য নিজেই নির্মাণ করছে। কারণ তারা সবাই নতুন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছে।
ভারতের সংবিধান প্রণয়ন দিবসকে স্মরণ করে ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতে সংবিধান প্রণীত হয়। ভারত এ পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রেই তার সাফল্য পেয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রেই এখনো চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের চ্যালেঞ্জ সব দেশেই রয়েছে। তবে ভারতের শক্তির সবচেয়ে বড় দিক হলো এর গণতন্ত্র। যা শুধু নির্বাচনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই।
নিউজরুম