২৪ জানুয়ারি, ২০১৩: পাবলিক স্থাপনা
রাজধানী ঢাকার পাবলিক স্থাপনাগুলোর করুণ দশা, যাব্যবহারের অযোগ্য। শহরবাসী ওপথচারীদের সেবার জন্য যাত্রী ছাউনি, পাবলিকটয়লেট এবং স্থানীয় পার্কগুলো স্থাপন করা হয়েছিল। বর্তমানে এই স্থাপনাগুলোঅবৈধ দখলে, অপরিষ্কার ও অব্যবস্থাপনার কারণে দিন দিন ব্যবহারের অনুপযোগী।তা ছাড়া এগুলোর বহুদিন ধরে কোনো সংস্কার নেই।
যাত্রী ছাউনিগুলোতেবিভিন্ন দোকান, পত্রিকা বিক্রির স্টল হওয়ায় পথচারীরা বাসের জন্য অপেক্ষাকরতে বসার সুযোগ পায় না। পাবলিক টয়লেটগুলো অপরিষ্কার ও অব্যবস্থাপনার জন্যব্যবহারের অযোগ্য হলেও মূল্যের বিনিময়ে পথচারীরা নিরুপায় হয়েও ব্যবহার করেথাকে। স্থানীয় পার্কগুলোতে অবৈধভাবে নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়। গরু-ছাগলেরঅবাধ বিচরণ ও মাদকাসক্তের দখলে থাকায় ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলার সুযোগ পায় নাএবং লোকজন বিকেলে পার্কেবসে বিশ্রাম নিতে পারে না।
ঢাকা সিটি করপোরেশন(ডিসিসি) কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, ঢাকার পাবলিক স্থাপনাগুলো ব্যবহারেরউপযোগী করার যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
মাহতাব আলী, মিরপুর, ঢাকা।
নির্বাচন
ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ে সৃজনশীলতা চর্চার এবং মুক্ত মত প্রকাশের অন্যতম মাধ্যমঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি বা ডিইউডিএস। তরুণ বিতর্কিকেরা তাঁদেরনিজস্ব মতামত ব্যক্ত করতেন এখানে। কিন্তু প্রায় সাত মাস ধরে তালা ঝুলছেডিইউডিএসের দরজায়। চেয়ার-টেবিলগুলোতে জমে আছে ধুলার আস্তরণ। নানা অজুহাত, নির্বাচন-প্রক্রিয়ার নিয়মনীতি এবং অতার্কিকদের অপতৎপরতার কারণে ডিইউডিএসনির্বাচন প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিভিন্নবিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিকেরাসুযোগবঞ্চিত হচ্ছেন। এ কারণে কোনো নতুন বিতার্কিক তৈরি হচ্ছেন না, ব্যাহতহচ্ছে মত প্রকাশের স্বাধীনতা। এটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যেমনঅসম্মানের, বিতার্কিকদের জন্য তেমনি লজ্জার।
সর্বোপরি, একটি গণতান্ত্রিকদেশের জন্য ভয়েরও কারণ। তাই এই তার্কিকদের আত্মার দাবি, অবিলম্বে ডিইউডিএসনির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক অথবা খুলে দেওয়া হোক ডিবেটিং ক্লাবটি।