ব্যবসা ও অর্থনীতিডেস্ক(২৪ জানুয়ারী): ইউরোপের ১১টি দেশ আর্থিক লেনদেনের ওপর কর আরোপের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এরফলে প্রথমবারের মতো আঞ্চলিকভাবে আর্থিক লেনদেন কর প্রবর্তিত হতে যাচ্ছে।
যদিওইউরোপ ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশ বা ইউরো অঞ্চলভুক্ত ১৭টি দেশ এই কর আরোপেরবিষয়ে কোনো মতৈক্যে আসতে ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু জার্মানি, ফ্রান্সসহ ১১টিদেশ এই কর আরোপ করবে। অন্য দেশগুলো হলো: অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, এস্তোনিয়া, গ্রিস, ইতালি, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া ও স্পেন।
এরফলে এসব দেশে শেয়ারসহ আর্থিক বাজারে লেনদেনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম দশমিক ১০শতাংশ হারে কর দিতে হবে। তবে ডেরিভিটিভসের জন্য এই হার হবে দশমিক শূন্য ১শতাংশ।
২০০৮ সালে বিশ্বজুড়ে আর্থিক সংকট দেখা দেওয়ার ফলে আর্থিকবাজারে ব্যাপক মাত্রায় ফাটকা কারবারের বিষয়টি নতুনভাবে আলোচনায় উঠে আসে।আর্থিক বাজারে ফাটকাবাজি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আর্থিক লেনদেনের ওপর করআরোপের প্রস্তাব করা হয় মূলত ইউরোপের কয়েকটি দেশ থেকে। তবে অনেক দেশই তাসমর্থন করেনি।
উল্লেখ্য, ৪০ বছর আগে অর্থনীতিবিদ জেমস টোবিন এই করের ধারণার প্রবর্তন করেন। সে কারণে এটি ‘টোবিন ট্যাক্স’ নামে পরিচিতি পায়।
আর্থিকবাজারের লেনদেনের ওপর এই করকে কেউ কেউ ‘রবিনহুড কর’ বলেও অভিহিত করেন।তাঁদের দাবি, আর্থিক বাজারে ফাটকাবাজি করে মানুষের কাছ থেকে প্রকারান্তরেবিপুল পরিমাণ অর্থ লুট করে নেয়। কাজেই তাদের ওপর কর আরোপ করা উচিত।
আর্থিকবাজারেমাত্রাতিরিক্ত ফাটকাবাজির মাধ্যমে কারবারীরা একটা পর্যায়ে বড় ধরণেরঝুঁকিতে পড়েন। বিনিয়োগকারীদের বিরাট লোকসানের মুখে পড়তে হয়। কেননা, কৃত্রিমভাবে বিভিন্ন আর্থিক পণ্যের (শেয়ার, বন্ড, ডেরিভিটিভস ইত্যাদি) দামবাড়িয়ে সেটা থেকে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রচেষ্টা থাকে। আবার একাধিকআর্থিক পণ্যকে সমন্বিত করে নতুন পণ্য বানিয়ে বাজারে ছাড়া হয় নতুনবিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য।
আর্থিকবাজারের ফাটকাবাজির পরিধি এখন এতোটাইবিস্তৃত যে খাদ্যপণ্যের বাজারেও তা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বজুড়ে ২০০৭ ও ২০০৮সালে খাদ্যের বিপুল মূল্যবৃদ্ধির পেছনে এই ফাটকাবাজি ভূমিকা রেখেছে বলেবিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
নিউজরুম