ঢাবি (২৩জানুয়ারী) : দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুসংহত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি মোজ্জামেল হোসেন বলেছেন, অতীতে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে গণমাধ্যম বন্ধ করা হতো- যা এখন কল্পনা করা যায় না।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৫০ বছর পূর্তি, বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী, নবীনবরণ ও অগ্রায়ণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন ।
মোজ্জামেল হোসেন বলেন, “গণতন্ত্র বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি। সংবিধানে মানুষের বাক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট মানুষের সে স্বাধীনতা দেওয়ার ক্ষেত্রে কাজ করছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের সঙ্গে গণমানুষের সম্পৃক্ততা বাড়ছে। প্রকাশনা যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে পাঠক সংখ্যা।”
তিনি বলেন, “গণতন্ত্র সর্বাপেক্ষা উত্তম শাসনব্যবস্থা। আমাদের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বেগবান হচ্ছে। গণমাধ্যম জনমত প্রকাশের মাধ্যম। গণতন্ত্রে গণমাধ্যমের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। বলা হয়ে থাকে, গণমাধ্যম হচ্ছে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। প্রকৃতপক্ষে স্বাধীন গণমাধ্যম সার্চ লাইটের আলোকের মতো। এটার আলো ছড়িয়ে মানুষের মাঝে বস্তুনিষ্ঠতা নিশ্চিত করে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যেকোনো পেশার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য কাজ করছেন। তাই এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা আগামীতে আরো দায়িত্বশীল ও গঠনমূলক কাজ করবেন।”
বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় এ বিভাগ ভবিষ্যতে আরো কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “গণমাধ্যমই গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে পারে। গণমাধ্যম স্বাধীন হলে আমাদের সে আশার প্রতিফলন ঘটবে। এ বিভাগ অতীতে বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে সহায়তা করেছে, ভবিষতেও করবে। এ বিভাগ দেশের সাংবাদিকতার নিউক্লিয়াস। এ বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা সম্মিলিতভাবে একটি পরিবার।”
ভবিষতেও সবাই একসঙ্গে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. আখতার সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক এমবিএম মুসা, নাইমুল ইসলাম খান, অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত আলী খান, পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. একে এম নুর-উন-নবী, অধ্যাপক ড. আব্দুল মজিদ হারুন, অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, ড. আবুল মনসুর আহমেদ, ড. ফাহমিদুল হক, বিভাগের শিক্ষকসহ বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
নিউজরুম