আর্ন্তজাতিক ডেস্ক(২৩ জানুয়ারী): চলন্ত বাসে মেডিকেলের ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিরনারীদের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। নিজেদের রক্ষায় নানা কৌশল নিতেশুরু করেছেন তাঁরা।
অনেক নারী মরিচের গুঁড়া সঙ্গে নিয়ে রাস্তায়বেরোচ্ছেন। কেউবা আগেভাগে কর্মস্থল ত্যাগ করছেন। ট্যাক্সিক্যাবে ওঠারক্ষেত্রে মানছেন সর্বোচ্চ সতর্কতা। নারী চালক দেখে ক্যাবে উঠছেন।
দিল্লিতেগত ১৬ ডিসেম্বর রাতে চলন্ত বাসে মেডিকেলের ছাত্রীর গণধর্ষণের পর ভারতজুড়েব্যাপক জনরোষের সৃষ্টি হয়। নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি ওঠে সমাজেরপ্রতিটি স্তরে। দক্ষিণ দিল্লির ছাত্রী সুনন্দ জালোত (১৮) বলেন, ‘দিল্লিনারীদের জন্য নিরাপদ নয়—আমারা দীর্ঘদিন ধরে এটা জানি। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বরেরঘটনা সবাইকে সজাগ করেছে। আমরা যখন-তখন যেখানে ইচ্ছে, সেখানে যেতে চাই।নিজেদের নিরাপদ ভাবতে চাই। তাই নিজেদের রক্ষার কৌশল জানতে হবে।’
ভারতেরঅন্য যেকোনো শহরের চেয়ে নয়াদিল্লিতে বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ২০১২ সালে৭০৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ২৩ শতাংশ বেশি। আর যৌননিপীড়ন ১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৭২৭।
নারীদের আত্মরক্ষার কৌশলপ্রশিক্ষণ দেয়—দিল্লিতে এমন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় নিবন্ধন বেড়ে গেছে।ইনভিকটাস নামক এমন একটি প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ প্রশিক্ষক অঙ্কুর শর্মাজানান, ১৬ ডিসেম্বরের ঘটনার পর তাঁদের প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধন প্রায় ৪০ শতাংশবেড়ে গেছে। তাঁদের বেশির ভাগই নারী শিক্ষার্থী বা চাকরিজীবী, যাঁদের বয়স ১৮থেকে ৩৫ বছর।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে একটি জরিপে দেখা গেছে, দিল্লিরবিপিও বা আইটি খাতে কর্মরত ৮০ শতাংশ নারী আগেভাগে কর্মস্থল ত্যাগ করছেন।জরিপে অংশ নেওয়া নারীরা জানান, তাঁরা বাস, অটোরিকশা ও পাতালরেলের মতোগণপরিবহন ব্যবহারে ভয় পাচ্ছেন। নারী চালকদের ট্যাক্সিক্যাব ব্যবহারেরচেষ্টা করছেন তাঁরা।
জরিপে বলা হয়, নারী চালকদের ট্যাক্সিক্যাব ব্যবহার৩৫ শতাংশ বেড়েছে। আর যাঁদের ট্যাক্সিক্যাবে চলার কিংবা আত্মরক্ষার কৌশলশেখার মতো সামর্থ্য নেই, তাঁরা মরিচের গুঁড়া নিয়ে রাস্তায় চলাফেরা শুরুকরছেন।
নিউজরুম