ঢাকা (২২জানুয়ারী) : মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) বুধবারের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
মঙ্গলবার দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে অ্যাড. মিজানুল ইসলাম তৃতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অব্যাহত রেখেছেন।
এদিনই চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবিরের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ বুধবারের মধ্যে যুক্তিতর্ক শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই আসামিপক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে ট্রাইব্যুনাল-১ এ নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে একটি মামলায় সাঈদীকে ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেফতার করা হয়। ওই বছরের ২ আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। গত বছরের ১১ জুলাই সাঈদীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ১৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগের বিষয়ে শুনানি শেষে ৩ অক্টোবর সাঈদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
সাঈদীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে পিরোজপুর জেলায় হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ এবং এ ধরনের অপরাধে সাহায্য করা ও জড়িত থাকার ঘটনায় ২০টি অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় সাঈদীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় গত বছরের ৭ ডিসেম্বর। মূল সাক্ষী ১৮ জন, সিজারলিস্টের ৯ জন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) হেলাল উদ্দিনসহ মোট ২৮ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০ জন ঘটনার এবং সাতজন জব্দ তালিকার সাক্ষী। এছাড়াও প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে দেওয়া ১৫ সাক্ষীর জবানবন্দি ট্রাইব্যুনালের আদেশে সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
২ সেপ্টেম্বর থেকে আসামিপক্ষের সাক্ষীদের সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। আসামিপক্ষে ১৭ জনের সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ ২৩ অক্টোবর শেষ হয়।
গত ৬ ডিসেম্বর এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য রাখা হলেও ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক পদত্যাগ করায় নবগঠিত ট্রাইব্যুনাল-১ গত ৩ জানুয়ারি এক আদেশে নতুন করে যুক্তিতর্ক শোনার সিদ্ধান্ত নেন। এ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষে দুই দিন এবং আসামিপক্ষে তিন দিন বক্তব্য শোনেন।
নিউজরুম