শারীরিক শিক্ষা হলো এরূপ একটি প্রতিষ্ঠিত বিষয়, যা আর্টস, কমার্স ও সায়েন্সের সমন্বয়ে গঠিত। যে কারণে এ বিষয়কে মাল্টিডিসিপ্লিনারি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। একটি জাতির তরুণ ও যুবসমাজের মধ্যে শৃঙ্খলাবোধ, নিয়মানুবর্তিতা ও নেতৃত্ব বিকাশে খেলাধুলা তথা শারীরিক শিক্ষার বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু বিষয়টি এখন পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিক পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। দেশে শারীরিক শিক্ষায় অনার্স-মাস্টার্স চালু রয়েছে। কর্মরত শরীরচর্চা শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রণীত সিলেবাসের আলোকে স্নাতক-পরবর্তী বিপিএড ডিগ্রির সঙ্গে মাস্টার্স পাস যোগ্যতাসম্পন্ন হলেও যথাযথ মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। তিন মাসের কোর্স সার্টিফিকেটে থাকা সাচিবিক বিদ্যা ও কম্পিউটার শিক্ষার পাঠদান করা যায়। সে ক্ষেত্রে এক বছরের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রির সঙ্গে যেকোনো বিষয়ে মাস্টার্স থাকলে কলেজ শরীরচর্চা শিক্ষকেরা অনায়াসে উচ্চমাধ্যমিকে শারীরিক শিক্ষার পাঠদান ও পরিচালনা করতে পারবেন।
পরিশেষে বর্তমান শিক্ষানীতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০১৩ সাল থেকে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠক্রমে শারীরিক শিক্ষা বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
চঞ্চল কুমার কর্মকার
শরীরচর্চা শিক্ষক, কুমারখালী কলেজ