কৃষি ডেস্ক(২২ জানুয়ারী): ২২ বছর ধরে খালে বাঁধ দিয়ে মাছমারা বিলে চিংড়ি চাষ করছিলেন বাগেরহাটের মংলাবন্দর পৌরসভার সাবেক এক চেয়ারম্যান। জমির মালিকদের নামমাত্র ইজারার টাকাদিয়ে, একরকম জোর করেই প্রায় ১২৫ একর জমিতে লবণপানি আটকে চিংড়ি চাষ করছিলেনতিনি।
এলাকাবাসীর আন্দোলনের মুখে গত বছরের জানুয়ারিতে বাঁধটি অপসারণ করেউপজেলা প্রশাসন। খালের বাঁধ উন্মুক্ত থাকায় এবং লবণপানি আটকে না থাকায়মাছমারা বিলের জমির মালিকেরা এবার ধানের ব্যাপক ফলন পেয়েছেন।
১৮জানুয়ারি সরেজমিনে মংলা পৌর এলাকার ওই বিলে দেখা গেছে, বিলজুড়ে পাকা ধান।মাছমারা গ্রামের পিটার বিধু দাশ বলেন, ‘বিলে মাছমারা, মাকড়ঢোন, পেড়িখালী, নারকেলতলা, চাঁদপাই ও কুমারখালী গ্রামের মানুষের প্রায় ১২৫ একর জমি রয়েছে।২২ বছর ধরে আমরা জমির ফসল থেকে বঞ্চিত ছিলাম। এই এলাকা এমনিতেই লবণাক্ত। তাছাড়া যিনি ঘের করতেন, এই বিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খালে তিনি বাঁধ দিয়েরেখেছিলেন। ফলে কোনো ফসল আমরা পাইনি। গত বছর উপজেলা প্রশাসন বাঁধ উন্মুক্তকরে দেওয়ায় আমরা এবার ধানের ভালো ফলন পেয়েছি।’
মাছমারা বিলের ২৫ বিঘাজমির মালিক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাঁধ অপসারণের ফলে আমরা বিঘাপ্রতি ২০-২৫ মণধান পেয়েছি। আমাদের জমিতে অন্যরা চিংড়ি চাষ করত। আর আমাদের ফসলের অভাবেচাল কিনে খেতে হতো। এ ছাড়া জমিতে সারা বছর লবণপানি আটকে না থাকায় আমাদেরগবাদিপশুগুলোর খাদ্যের অভাবও পূরণ হচ্ছে।
মংলা উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, ‘শুধু মাছমারা খাল নয়, গত বছর আমরাআরও কিছু সরকারি খালের বাঁধ অপসারণ করেছিলাম। এসব জায়গায় ধানের ফলন ভালোহয়েছে।’
নিউজরুম