আর্ন্তজাতিক ডেস্ক(২২ জানুয়ারী): মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মার্কিনদের প্রতি সাম্য ও ঐক্যের আহ্বানজানিয়েছেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক ‘স্বৈরাচার’ যেন দেশের প্রত্যাশিত পরিবর্তন ওউন্নয়নচেষ্টাকে ব্যর্থ করে না দেয়, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দেন তিনি।দেশবাসীকে তিনি রাজনৈতিক হানাহানি ও তিক্ততা প্রত্যাখ্যানেরও আহ্বান জানান।
প্রেসিডেন্টওবামা গতকাল সোমবার ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল মলের (ক্যাপিটল হিল) শ্বেতগম্বুজভবনের সামনে প্রায় সাত লাখ মানুষের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টহিসেবে আনুষ্ঠানিক শপথ নেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবেপ্রেসিডেন্টের দায়িত্বও গ্রহণ করেন। শপথ নেওয়ার পর প্রচলিত রীতি অনুযায়ীতিনি জনসমক্ষে অভিষেক ভাষণ দেন। এ ভাষণেই তিনি ওই আহ্বান জানান।
আবারওচার বছরের জন্য হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নিয়ে ওবামা তাঁর প্রথম ভাষণে দেশেররাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উত্তরণে রূপরেখার পাশাপাশি নারী, সমকামী ওঅভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কথা বলেছেন।
বর্তমান তিক্ততাপূর্ণ রাজনীতিরবিভেদ ও অকার্যকারিতা অবসান এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক সত্যকেপুনরুজ্জীবিত করতে ওবামা ‘উই দ্য পিপল্’ (আমরা ওই জাতি) শব্দগুচ্ছ ভাষণেবারবার ব্যবহার করেন। রাজনীতি, অর্থনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেঅচলাবস্থা কাটাতে জাতীয় ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এখন সিদ্ধান্তআমাদের এবং এই সিদ্ধান্ত নিতে আমরা কালক্ষেপণ করতে পারি না।’
ওবামাবলেন, ‘নীতির ব্যাপারে স্বেচ্ছাচারিতার মতো ভুল আমাদের সঙ্গে মানায় না। এছাড়া, জীবন ও ভবিষ্যতের ব্যাপারে আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির বিপরীত কোনো কিছুওগ্রহণ করা আমাদের কাম্য নয়। আমাদের কাজের অসম্পূর্ণতার বিষয়টি বিবেচনায়রেখেই নিপুণভাবে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।’
ওবামা আরও বলেন, ‘ক্ষুধাপীড়িতযেসব অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রকে তাঁদের ভাগ্য পরিবর্তনের স্থান মনে করেন, আশানিয়ে এখানে আসেন, তাঁদের সুন্দর পথের সন্ধান না দেওয়া পর্যন্ত আমাদেরযাত্রা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।’
বিশ্লেষকেরা বলেন, ওবামার এ ভাষণ ছিলস্পষ্টতই উদার। তিনি সমাজের দুর্বল, দরিদ্র ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিতমানুষের রক্ষায় এগিয়ে আসার ডাক দেন। সমকামী, আগ্নেয়াস্ত্রের সহিংসতার শিকারশিশুদের অধিকার রক্ষায়ও এগিয়ে আসার আবেদন ছিল তাঁর এ ভাষণে।
রোববারওবামা হোয়াইট হাউসে সাংবিধানিক নিয়ম রক্ষার শপথ নেন। ৫১ বছর বয়সী ওবামাকেপ্রথম মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে চরম অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলা করতে হয়েছে। এসময় তিনি ঐতিহাসিক স্বাস্থ্যসেবা আইন, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সেনাপ্রত্যাহারসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেন। এসব বিষয় নিয়ে তাঁকেবিরোধী রিপাবলিকান পার্টির তীব্র সমালোচনা মোকাবিলা করতে হয়।
নিউজরুম