স্পোর্টস ডেস্ক(২২ জানুয়ারী): আগের বছরের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তির কথা বললে কোনটা বেছে নেবেন লিওনেল মেসি? না, ব্যালন ডি ’অর নয়। এক পঞ্জিকাবর্ষে জার্ড মুলারের সবচেয়ে বেশি গোলেররেকর্ড নিজের করে নেওয়াও নয়। শিশুপুত্র থিয়াগো! ২০১২ সালেই মেসি-রোকুজ্জোরঘর আলো করে এসেছে ফুটফুটে সন্তান থিয়াগো। দিন শেষে সেই অবোধ শিশুর হাসিই সবক্লান্তি ধুয়েমুছে দেয় বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের।
কাতালান দৈনিক এলপিরিওডিকোকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে মেসি বলেছেন, ‘আগে বাসায় গিয়েই মনে হতো আমিবুঝি এখনো বাইরে। সবকিছু ঠিকঠাকও চলছে না। এখন আমার ছেলেকে দেখলে তেমন আরমনে হয় না। সব ব্যালন ডি ’অরের চেয়েও থিয়াগো আমাকে অনেক বেশি বদলে দিয়েছে।’ এই মুহূর্তে তাই মেসির কাছে পুরো পৃথিবী একদিকে, থিয়াগো অন্যদিকে, ‘সেআমার জীবন বদলে দিয়েছে। এই মুহূর্তে ও-ই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
এইসন্তান যেন মাঠে আগের চেয়েও অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে মেসিকে। মেসিরবৃহস্পতি এখন সত্যিই তুঙ্গে। সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদদের কাতারে তাঁর নামথাকবে কি না, সে আলোচনাই উঠেছে। কিন্তু আর্জেন্টাইন তারকা বিনয়ের সঙ্গেইমোহাম্মদ আলী, মাইকেল জর্ডানদের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গে নিজের তুলনাটাঅপছন্দ করেন, ‘মাইকেল জর্ডান, উসাইন বোল্ট বা মোহাম্মদ আলীদের সঙ্গে আমারতুলনা করাটা পাগলামি। আমি তুলনা পছন্দ করি না। কারও সঙ্গে নিজেকে তুলনাকরার আমি কে? আমি শুধু নিজের কাজটাই করছি। যখন ক্যারিয়ার শেষ হবে, তখন দেখবআমি কেমন করেছি।’
শুধু খেলোয়াড়ি মানদণ্ডেই নয়, বরং কথার পরিমিতিবোধেওযে তিনি অনন্য, সেই প্রমাণও দিয়েছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড, ‘আমিই আমারসবচেয়ে বড় সমালোচক। কখন ঠিক করলাম বা কখন ভুল করলাম, সেটা আমি নিজেই সবচেয়েভালো জানি।’
এবারও মেসিই ব্যালন ডি ’অর জিতছেন, এমন সম্ভাবনাটা বলতেগেলে ছড়িয়ে পড়েছিল বাতাসে। কিন্তু তাঁর কাছে নাকি এটা চমকই হয়ে এসেছিল, ‘আমার নাম যখন বলা হলো, আমি অবাকই হয়েছিলাম। আমি এটা আশা করিনি।’ বার্সারহয়ে সম্ভাব্য সবকিছু জিতলেও এখনো যে অতৃপ্তিটা তাঁর মনে কাঁটার মতো বিঁধে, সেটি বিশ্বকাপ। অধরা বিশ্বকাপটা জিততে চান আগামী বছরই। সর্বকালের সেরাহওয়ার জন্য এই মণিহার যে তাঁর ভীষণ দরকার!
নিউজরুম