ঢাকা (২০জানুয়ারী) : যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নতুন মামলায় গ্রেফতার না দেখানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
রোববার সকালে মির্জা ফখরুলের পক্ষে আইনজীবী মো. সগীর হোসেন লিওন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।
সোমবার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের বেঞ্চে এ রিট আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে অন্তরীণ রয়েছেন।
আদালতে আবেদনটি উপস্থাপন করেন ব্যরিস্টার রফিক-উল হক ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।
রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ, বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতের ডিসি (প্রসিকিউশন), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, ঢাকার আইজি (প্রিজন), লালবাগ ও উত্তরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার, গাজীপুরের এসপি, কাশিমপুর কারাগার-২কে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে জামিন পাওয়ার পর যথাযথ আদালতের ইস্যু করা গ্রেফতারি পরোয়ানা এবং আইনের যথাযথ বিধান ব্যতীত মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার না করার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
এছাড়া যেসব মামলার এফআইআরে আসামি কলামে মির্জা ফখরুলের নাম নেই, সে সব মামলায় গ্রেফতার না করতেও নির্দেশনা চাওয়া হয় আবেদনে।
গত ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মির্জা ফখরুলকে আটক করা হয়। ওই দিন তাকে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে পল্টন থানার একটি মামলায় এবং শেরেবাংলানগর থানার আরেকটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এ দু’টি মামলা দায়ের করা হয় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ৯ ডিসেম্বরের অবরোধ কর্মসূচির দিন।
এ ছাড়া অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মোট ৩৭টি মামলা দায়ের করা হয়।
পল্টন ও শেরেবাংলানগর থানায় করা দুই মামলায় মির্জা ফখরুল ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান। পরে মতিঝিল ও সূত্রাপুর থানায় দায়ের করা দু’টি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে মির্জা ফখরুলের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হলে সূত্রাপুর থানার মামলায় জামিন দেন আদালত।
অন্যদিকে মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।
এদিকে গত বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে আরও দু’টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
রাজধানীর পল্টন ও কলাবাগান থানার দু’টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তাকে। তবে আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠান।
এর আগে গত বছরের ২৯ এপ্রিল দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার ঘটনায় সারা দেশে হরতাল পালনের দিন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে একটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও সচিবালয়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় তেজগাঁও ও রমনা থানায় দু’টি মামলা দায়ের হয়। ওই দুই মামলায় মির্জা ফখরুলসহ ১৮ দলের ৩৩ জন শীর্ষস্থানীয় নেতা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে নেওয়া হয়।
ওই সময় প্রায় মাসখানেক কারাগারে ছিলেন মির্জা ফখরুল। পরে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
নিউজরুম