রাজশাহী (২০জানুয়ারী) : বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলের স্বণির্ভর বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি।
রোববার দুপুরে রাজশাহী মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সমন্বয় সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) মাহাবুবুর রহমান দলের পক্ষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
একই দাবিতে ঘোষিত অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সব জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আগামী ২৪ জানুয়ারি সকাল ১১টা হতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মানবপ্রাচীর, ২৭ জানুয়ারি বিক্ষোভ সমাবেশ, ৩০ জানুয়ারি রাজশাহী ও রংপুর জেলা পরিষদের কার্যালয় ঘেরাও ও স্বারকলিপি প্রদান এবং ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ দুই বিভাগের মহাসড়ক ১ ঘণ্টা অবরোধ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এর পরও যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম ও রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে দেশব্যাপী আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
তবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি, দেশব্যাপী নারীদের ওপর নির্মম নৃশংসতা, গুম, অপহরণ, গুপ্তহত্যার প্রতিবাদ, সরকারি সন্ত্রাস বন্ধ, সীমান্তে বিএসএফের নির্বিচারে বাংলাদেশি হত্যা বন্ধসহ বিপন্ন জনগণকে রক্ষার দাবিতে এ আন্দোলন কর্মসূচি বলেও ঘোষণা করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো ছিলেন- সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপির যুগ্ন-মহাসচিব ও রাজশাহী মহানগর সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল হক, সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ, বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠণিক সম্পাদক আসাদুল হাবীব দুলু প্রমুখ।
এর আগে রাজশাহী মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় সমন্বয় সভা আয়োজন করা হয়। প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী এ আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। সভায় সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীর মতামতের ভিত্তিতে এই ৫ দিনব্যাপী আন্দোলন পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, হরতালে বাধা দেওয়া হলে এর পরিণতি ভালো হবে না
নিউজরুম