কক্সবাজার (১৯ জানুয়ারী) : কক্সবাজার জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহজালাল চৌধুরীকে গ্রেফতার ইস্যুতে রোববার কক্সবাজারে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে জামায়াত।
এ হরতালে বিএনপিসহ ১৮ দল সমর্থন জানিয়েছে। হরতালকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে ব্যাপক নাশকতার পরিকল্পনা নিয়েছে জামায়াত-শিবির। তারা দফায় দফায় গোপন বৈঠক করে পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ১৭ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহজালাল চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. আজাদ মিয়া জানান, উখিয়ায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর বৌদ্ধ বিহার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ সংক্রান্ত একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন শাহজালাল চৌধুরী। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর সম্প্রতি শাহজালাল চৌধুরী ওই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে প্রকাশ্যে আসেন। কিন্তু একই ঘটনায় আরও ৬টি মামলায় রয়েছে। ওই সব মামলায় অজ্ঞাত আসামির মধ্যে সন্দেহজনক ব্যক্তি হিসেবে তাকে আবার গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারের পর অ্যাডভোকেট শাহজালাল চৌধুরীকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। এ ইস্যুতে রোববার সকাল-সন্ধ্যায় হরতাল আহ্বান করেছে জামায়ত। কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জিএম রহিমুল্লাহ জানান, বিনা মামলায় অ্যাডভোকেট শাহজালাল চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ প্রতিবাদে রোববার কক্সবাজারে সকাল-সন্ধ্যায় হরতাল পালন করা হবে।
ইতিমধ্যে হরতালের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ্য করে জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, ‘কক্সবাজারে এ পর্যন্ত যতো হরতাল পালন হয়েছে তার চেয়ে কঠোরভাবে পালন করা হবে এ হরতাল।’ বিএনপিসহ ১৮ দল হরতালে সমর্থন জানিয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও অ্যাডভোকেট শাহজালাল চৌধুরীর ভাই শাহজাহান চৌধুরী।
এদিকে, হরতালে ব্যাপক নাশকতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, শুক্রবার রাত থেকে কক্সবাজার শহরে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা দফায় দফায় বৈঠক করে নাশকতার পরিকল্পনা করছে। তারা শহরের কয়েকটি ফ্ল্যাট বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের আড়ালে শিবির ক্যাডারদের জড়ো করে নাশকতার পরিকল্পনা নিচ্ছে।
আর এ নাশকতা এড়াতে পুলিশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও প্রস্তুত রয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আকতার।
এএসপি বাংলানিউজকে জানান, জনজীবনে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো কর্মকান্ড যাতে সংঘটিত না হয় এর জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্র্ণ পয়েন্টে শনিবার থেকে পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি অতিরিক্ত টহল রয়েছে।
নাশকতার পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, পুলিশের হাতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু তথ্য এসেছে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
নিউজরুম