বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক(১৬ জানুয়ারী): ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল বা ভিওআইপি বৈধ করার পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এজন্য এক হাজার চারটি লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডাক ওটেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেলিযোগাযোগসচিব আবু বকরসিদ্দিক।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত সোমবার ভিএসপি (ভিওআইপি সার্ভিসপ্রোভাইডার) লাইসেন্স দিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম চূড়ান্ত করে বাংলাদেশেটেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটি-আরসি) পাঠানো হয়েছে। কারিগরিমূল্যায়নে ২৫ থেকে ৯০-এর মধ্যে নম্বর দিয়েছিল বিটি-আরসির কারিগরি কমিটি।সেই নম্বরের ভিত্তিতেই ভিএসপি লাইসেন্সের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভিওআইপিলাইসেন্স পেতে বিটিআরসিতে প্রায় দেড় হাজার আবেদন জমা পড়েছিল। ১জানুয়ারি মূল্যায়ন শেষ করে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠায় বিটিআরসি। মূল্যায়নেআবেদনকারীদের বিভিন্ন দিক ও যোগ্যতা বিবেচনা করে একটি নম্বর দেওয়ার পর তামন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
গত বছরের ২২ জুলাই বিটিআরসির ওয়েবসাইটেভিওআইপি সার্ভিস প্রোভাইডার বা ভিএসপি লাইসেন্স প্রক্রিয়ার চূড়ান্তনীতিমালা ও লাইসেন্স আবেদন চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। নীতিমালা অনুযায়ী, ভিওআইপি লাইসেন্সপ্রাপ্তরা ভিওআইপি সার্ভিস প্রোভাইডার বা ভিএসপি নামেপরিচিত হবে। অবৈধ ভিওআইপি ঠেকাতে এ লাইসেন্স নীতিমালা প্রক্রিয়া শুরু হয়২০১১ সালে।
এ বিষয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস প্রথমআলোকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শিগগিরই এ লাইসেন্সদেওয়া হবে।’
পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে আবেদন করেছিলেন ভিএসপিলাইসেন্সপ্রাপ্তরা। এখন ভিএসপি লাইসেন্সের নীতিমালা অনুযায়ী লাইসেন্সমাশুল বাবদ পাঁচ লাখ টাকা এবং বার্ষিক নবায়ন মাশুল বাবদ এক লাখ টাকা করেদিতে হবে।
তবে টেলি-যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে এক হাজার চারটি লাইসেন্সদেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত করা হলেও মোট কতটি লাইসেন্স দেওয়া হবে, সেসম্পর্কে কোনো উল্লেখ নেই নীতিমালায়।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতিদিন বৈধ পথে প্রায় তিন কোটি মিনিট কল বিদেশ থেকে আসে।কিন্তু এর বাইরে গড়ে দিনপ্রতি আরও আড়াই কোটি মিনিট কল অবৈধ পথেটার্মিনেশন করা হয়, যাতে সরকারের প্রায় ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা রাজস্বক্ষতি হচ্ছে। বৈধভাবে প্রতি মিনিট আন্তর্জাতিক কলে তিন মার্কিন সেন্ট দেশেআসে।
নিউজরুম