নাটোর (১৪জানুয়ারী) : বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বীজ কিনে বপন করে প্রতারিত হয়েছেন নাটোর সদর উপজেলার দুই শতাধিক সরিষা চাষী।
জানা গেছে, এই এলাকার চাষীরা আগাম দেশীয় উন্নত টোরেন্টা ও বারী জাতের স্বল্প মেয়াদী সরিষা বপন করে। কিন্তু অর্ধেকের বেশি হয়েছে রাই। এদিকে রাই দেরিতে পাকার ফলে তারা বোরো আবাদ করতে না পেরে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
সরেজমিতে দেখা যায়ম, নাটোর সদরের রামনগর, রামেশ্বরপুর, শ্রীধরপুর, ধরাইলসহ বিভিন্ন স্থানের কৃষক বিএডিসি অফিস ও তাদের নির্ধারিত ডিলারের কাছ থেকে সরিষা বীজ কিনে প্রতারিত হয়েছেন।
এরমধ্যে সদর উপজেলার রামনগর এলাকায় গভীর নলকূপের আওতায় দুই শতাধিক কৃষক ১২০ বিঘা জমিতে সরিষা বপন করেছেন।
এর আগে তারা এসব জমিতে আমন ধান কাটার পর বোরো আবাদের জন্য ফাঁকা ফেলে রাখলেও এবার কৃষি বিভাগের পরামর্শে স্বল্পকালীন ফসল হিসেবে সরিষার আবাদ করে বিপাকে পড়েছেন। কৃষকরা বারি-৯ জাতের সরিষার বীজ বপন করলেও বেশিরভাগ হয়েছে রাই।
রামনগর গ্রামের কৃষক রহিম বক্স জানান, রাই রাখলে তারা বোরো আবাদ করতে পারবেন না, আর সরিষা তুললে চালানও উঠবে না। তিনি তদন্ত করে ভেজাল বীজ সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় বিএডিসির ডিলার মাসুদ হোসেন ও খুচরা সরিষা বীজ বিক্রেতা মোতালেব হোসেন মাঠে এসে জানান, তারা বিএডিসি অফিস থেকে বীজ এনে বাজারে বিক্রি ও কৃষকদেরকে সরবরাহ করেছেন।কৃষকদের সঙ্গে নিজেরাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন দাবি করে তারা তদন্তের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে নাটোর সদর উপজেলা সহকারি কৃষি কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানান, কৃষকরা যেন সরকারি অফিসের এ ধরনের ভেজাল বীজ কিনে প্রতারণার শিকার না হন সে ব্যাপারে তারা উর্দ্ধতন মহলে জানাবেন।
এদিকে বিএডিসি (বীজ বিপনন) বিএডিসি নাটোরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এইচ এস জাহিদুল ফেরদৌস জানান, নাটোর অফিসে জাত বাছাইয়ের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তারা শুধু বরাদ্দকৃত বীজ বাজারজাত করেন।
তিনি আরও জানান, বিএডিসির বীজে এ ধরনের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয় তারপরও এ সমস্যা উর্দ্ধতন মহলকে জানানো হয়েছে।
নিউজরুম