ঢাকা (১৪জানুয়ারী) : সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলায় ৠাবের সংগ্রহে থাকা সাত ধরনের আলামত ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আমেরিকা পাঠানো হচ্ছে। আলামতগুলো আমেরিকা পাঠানোর জন্য রোববার ঢাকা সিএমএম আদালতের কাছে অনুমতি প্রার্থনা করা হয়।
মামলার তদন্ত কমকর্তা ৠাবের ইনভেস্টিগেশন ফরেনসিক উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জাফর উল্লাহ এই আবেদন করেন।
শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিজানুর রহমান আবেদন মঞ্জুর করেন।
লোহার ফ্লাটবার দিয়ে তৈরি গ্রিলের অংশ, ঘরে ঢোকার প্রধান দরজার একটি পুরনো লক (তালা), একটি পুরনো পিতলের ছিটকিনি, কাস্টিং লোহার তৈরি পুরনো একটি ডোর চেইনের সেট ও তিনজন সন্দিগ্ধ ব্যক্তির কাপড়চোপড় আলামত হিসেবে পাঠানো হবে।
আবেদনে বলা হয়, গত ১১ জানুয়ারি সকালে মামলার ঘটনাস্থলে (সাগর-রুনি হত্যার স্থান) শেরেবাংলা নগর থানাধীন পশ্চিম রাজাবাজারের ৫৮/এ/২ নম্বর বাসার চার নম্বর ফ্লাটে ঢোকার প্রধান দরজা এবং রান্নাঘরের পূর্ব পাশের বারান্দার গ্রিল থেকে আলামতগুলো সংগ্রহ করা হয়। মামলার গুরুত্ব অনুধাবন করে আলামতগুলো আমেরিকার কলোরোডো অঙ্গরাজ্যের ইনডিপেনডেন্ট ফরেনসিক সার্ভিস লিমিটেডে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো প্রয়োজন।
এর আগে একই প্রতিষ্ঠান থেকে সন্দেহভাজন ১৩ ব্যক্তির ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সর্বশেষ গত সপ্তাহে ৭ জনের ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল এসেছে ৠাবের হাতে। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল থেকে কোনো আসামিকে সনাক্ত করতে পারেনি ৠাব।
তবে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া আলামত থেকে দুই ব্যক্তির পূর্ণাঙ্গ ডিএনএ বৃত্তান্ত পাওয়া গেছে। এই দুই ব্যক্তিকে সনাক্ত করতে এখন কাজ করছে তদন্ত কর্মকর্তারা। ৠাবের ধারণা এরাই প্রকৃত খুনি।
মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ৭ জন কারাগারে আছেন। এরা হলেন, নিহত মেহেরুন রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান, বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পাল, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ ও মো. সাঈদ।
তবে কারাগারে পাঠানো সাত আসামির কেউ এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি দেননি।
উল্লেখ্য, গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে অবস্থিত তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিউজরুম