ঢাকা (১৩জানুয়ারী) : গণঅভ্যুত্থান এড়াতে সরকারকে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপে বসার আহবান জানিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবারের মানবপ্রাচীর কর্মসূচিকে সামনে রেখে রোববার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম এ আহবান জানান।
তিনি বলেন, “টালবাহানা বাদ দিয়ে গণঅভ্যুত্থান হওয়ার আগেই তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন দিন। জনগণ খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দু:শাসনের অবসানের অভ্যুত্থান ঘটানোর অপেক্ষায় আছে। গণঅভ্যুত্থান হওয়ার আগেই সংলাপে আসুন।”
এ সময় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণকে অসত্য আখ্যা দিয়ে তরিকুল বলেন, “মিথ্যাচার বাদ দিয়ে তার উচিত ছিলো, দুর্নীতি আর লুটপাটের দায় ও সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া। তারপর পদত্যাগ করে বিদায় নেওয়া।”
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের ফলে সংলাপের পথ বন্ধ হয়ে গেলো কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সংলাপের পথ অবশ্যই খোলা আছে।”
“আর পথ বন্ধ হলে রাজপথেই সমাধান হবে” মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সংগ্রাম কখনো বন্ধ হয় না। কারণ যুদ্ধের সময়ে মাওসেতুংও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করেছিলেন।”
তরিকুল বলেন, “যেভাবেই যা করুক, তত্ত্বাবধায়ক হতেই হবে। তত্ত্বাবধায়কের মাধ্যমেই নির্বাচন দিতে হবে।”
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “মানুষের জন্য উচ্চ আদালত। আদালতের জন্য মানুষ নয়।”
বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, তোফায়েল আহমেদ, মোহাম্মদ নাসিম প্রমুখ সম্পর্কে তিনি বলেন, “তারা তত্ত্বাবধায়ক বিরোধী কথা বলেন। তারা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা। তাদের সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না। তবে তাদেরও দায়িত্ব আছে দেশ যাতে খারাপ দিকে না যায় তা লক্ষ্য রাখার।”
তরিকুল বলেন, “ওয়ান-ইলেভেনের জন্য আওয়ামী লীগ নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই দায়ী। সেনা সমর্থিত সরকারকে সমর্থন দিয়েই তিনি ক্ষমতায় আসেন।”
এ সময় আরো ছিলেন- ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাদেক হোসেন খোকা, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম-মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলু, আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবির রিজভী, সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জাফরুল হাসান, জাসাস সভাপতি এমএ মালেক প্রমুখ।
নিউজরুম