ঢাকা (১৩জানুয়ারী) : সরকারের চার বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ভাষণ দিয়েছেন, তার কোনো মূল্য আছে বলে মনে করেন না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকে ‘অন্তঃসারশূন্য’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে গণতন্ত্রের সংকটের ইস্যুতে একটি কথাও বলেননি। শুধু সফলতার কথা বলেছেন, ব্যর্থতার কোনো কথা বলেননি।
আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় মওদুদ আহমদ একথা বলেন। ১৮ দলের শরিক লেবার পার্টির ঢাকা মহানগর শাখা ‘প্রতিহিংসার চার বছর: সংবিধান, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’ শীর্ষক ওই আলোচনার আয়োজন করে।
মহাজোট সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে গত শুক্রবার বেতার ও টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকে ‘গতানুগতিক’ উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে কি না, হলে কীভাবে হবে, তা নিয়ে জাতি উদ্বিগ্ন। মানুষ আশা করেছিল প্রধানমন্ত্রী সর্বজনীন ভাষণ দেবেন। গণতন্ত্রের যে সংকট চলছে, তা নিয়ে কথা বলবেন। কিন্তু তা হয়নি।’
মওদুদ আহমদ বলেন, ‘এ ভাষণের কোনো মূল্য আছে বলে আমি মনে করি না। আশা করি প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতে এমন ভাষণ দেবেন যাতে রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রশমিত হবে, তাতে মানুষ খুশি হবে।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বিশ্বজিত্ হত্যা, পদ্মা সেতু, হল-মার্ক কেলেঙ্কারি—এসব বিষয়ে কোনো বক্তব্য না থাকায় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সমালোচনা করেন বিএনপির এই নেতা।
এক-এগারোর ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো মাঝেমধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাইছে বলে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন মওদুদ আহমদ। তবে তিনি বলেন, আবার এক-এগারোর মতো কোনো ঘটনা ঘটলে তার দায় আওয়ামী লীগকেই নিতে হবে।
চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক এই মন্ত্রী অভিযোগ করেন, সংসদ বর্জনের সংস্কৃতি আওয়ামী লীগই চালু করেছে। আওয়ামী লীগকে তিনি ধ্বংসাত্মক, নেতিবাচক, প্রতিহিংসাপরায়ণ দল বলেও আখ্যায়িত করেন।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে ১৮ দল কোনো নির্বাচনে যাবে না উল্লেখ করে মওদুদ বলেন, উপযুক্ত সময়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালে সরকারকে বাধ্য করা হবে।
লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মাহদী প্রমুখ এই আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।
নিউজরুম