সিরাজগঞ্জ,(১৩জানুয়ারী) : সিরাজগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে আবারও ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের দফায় দফায় সংঘর্ষে ৪ পুলিশ-র্যাবসহ কমপক্ষে ৪৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
রোববার সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে।
আহতদের মধ্যে- কলেজ ছাত্রীগের সাধারণ সম্পাদক শামিম রেজা, নেতা রকি, রনি, বছির, বনি, আহসান হাবিব খোকা, আকাশ কাইয়ুম, জেলা যুবলীগের সাংস্কৃতিক সম্পদক আরিফুল ইসলাম বিটু ও যুবলীগ কর্মী রাজু এবং জেলা যুবদলের সাধরণ সম্পাদক মির্জা বাবু, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোরাদুজ্জামান মুরাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আলীম, জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, থানা যুব দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, শহর যুবদলের প্রচার সম্পাদক রবিউল ইসলাম, কলেজ শাখার ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পলাশ, জেলা যুবদলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, শহর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সজিব, আলামিন, জেলা যুবদল কর্মী সোহেল রাজু, থানা যুবদল কর্মী কোরবান ও রমজান রয়েছে। বাকিদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
এছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন, র্যাব এএসপি অশোক কুমার পাল, সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম খান, উপ-পরিদর্শক আফজাল হোসেন।
আহতদের মধ্যে ২০ জনকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক সেবা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের জের ধরে শনিবারের মতো রোববারও একই সময়ে কলেজের পাশে ইলিয়ট ও টুকু ব্রিজ, বিএ কলেজ রোড এবং কালিবাড়ি সড়কে দফায় দফায় সংঘর্ষে ইট-পাটকেল ও পুলিশের অর্ধশত রাবার বুলেট এবং অর্ধশত টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
পরে র্যাব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সঙ্গে যোগ দিয়ে উভয়পক্ষের লোকজনকে লাঠিপেটা করে। দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর দুপুর ১টার দিকে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে র্যাব-পুলিশ। পুলিশের রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও ইট-পাটকেলের আঘাতে ৪ জন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন জানান, ছাত্রদলের ছেলেরা পরিকল্পিতভাবে কলেজের দক্ষিণ দিকের ফটক ভেঙে ক্যাম্পাসে ঢুকে পরীক্ষা চলাকালীন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু করে। ছাত্রদলের সঙ্গে সংঘর্ষে ও ইটপাটকেলের আঘাতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন রাজেশ শনিবারের মতো আবারও পুলিশ-র্যাব নিয়ে এসে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
যুবদল সাধারণ সম্পাদক মির্জা বাবু জানান, সকাল সাড়ে ১১টার সময় কেরোসিন ও পেট্রোল দিয়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি পার্টির অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য এলে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি প্রতিহত করে। এ সময় তারা মমতাজ সিনেমা হলের সামনে ও আশেপাশে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও দোকান পাট ভাঙচুর এবং লুটপাট করে। ইট-পাটকেলের আঘাতে ছাত্রদল ও যুবদলের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন জানান, সংঘর্ষে পুলিশ ও র্যাবের ৪ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম খান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শনিবারের মতো ফের শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
নিউজরুম