রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ প্রকাশ্যে বিশ্বজিৎকে কুপিয়ে হত্যার পর রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর সরকার দলীয় ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের এসিড নিক্ষেপের ঘটনা সরকারের প্রশ্রয় ও আস্কারারই প্রমাণ করে। অন্যদিকে এমপিও ভুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের উপর পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ ও মরিচগুড়া নিক্ষেপের ঘটনা অত্যন্ত অমানবিক। গতকাল যৌথ এক বিবৃতিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যাল সাদা দলের ৩৫১ শিক্ষক এসব কথা বলেন।
অন্যদিকে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপর এসিড সন্ত্রাসের ঘটনার পৃথক বিবৃতিতে রাবি’র জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. আফরাউজ জামান খান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মো. ফজলুল হক নিন্দা জানিয়েছেন।
উভয় বিবৃতিতে শিক্ষকরা আরও বলেন, ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তরা হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, ভর্তি বাণিজ্যসহ জঘন্য কর্মকান্ডের মাধ্যমে সারাদেশে বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে চলেছে এ ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা। তাদের বিচার তো দূরে থাক সরকারের দায়িত্বশীল মহল থেকে আস্কারা পেয়েই তারা এবার নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলনরত সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শি¶ক-শিক্ষার্থীদের সাথে এ নজিরবিহীন ঘৃণ্য আচরণের দু:সাহস পেয়েছে। অন্যদিকে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রুটি-রুজির দাবিতে আন্দোলনরত নন-এম.পিও ভুক্ত শিক্ষকদের উপর মরিচগুড়া স্প্রের ঘটনায় শিক্ষকরা বলেন, মানুষ গড়ার কারীগর শিক্ষকদের প্রতি নির্বিচারে লাঠি চার্জ, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।
বিবৃতিদাতা শি¶কদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, সাদা দলের আহবায়ক প্রফেসর মু. আজহার আলী, এম রফিকুল ইসলাম, ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, এম আমিনুল ইসলাম, ড. মামনূনুল কেরামত, ড. আফরাউজ্জামান খান চৌধুরী, এম নজরুল ইসলাম, ড. এম আবুল হাশেম, ড. মো. শামসুল আলম সরকার, ড. আব্দুল হাই তালুকদার, সি.এম. মোস্তফা, ড. মো. এনামুল হক, ড. এফ নজরুল ইসলাম, ড. আমিনুল হক, ড. মো. আমজাদ হোসেন, ড. মো. নিজাম উদ্দিন, ড. সৈয়দা আফরীনা মামুন, ড. হাসনাত আলী, ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, ড. মোস্তফা কামাল আকন্দ, ড. গোলাম রব্বানী মন্ডল, ড. শামসুজ্জোহা এছামী প্রমূখ।
নিউজরুম