মানামায় আগুনে দগ্ধ হয়ে ১১ জন বাংলাদেশি মৃত্যূ

0
139
Print Friendly, PDF & Email

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক(১৩ জানুয়ারী): বাহরাইনের রাজধানী মানামায় আগুনে দগ্ধ হয়ে ১৩ জন প্রবাসী কর্মী মারা গেছেনএঁদের মধ্যে ১১ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছেতাঁরা সবাই বাংলাদেশিমৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে
বাহরাইনের বাংলাদেশদূতাবাস সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে মানামার মুখারকা এলাকার তিনতলা একটিভবনে আগুন লাগলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেউপমহাদেশের শ্রমিকেরা গাদাগাদি করেওই ভবনে থাকতেন, যাঁদের বেশির ভাগই বাংলাদেশি
মৃত ব্যক্তিরা হলেন:চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর চরখিজিপুর এলাকার শাকির আহমেদের ছেলে নাজির আহমেদ, পটিয়ার পাথুয়া গ্রামের মাহবুব আলমের ছেলে রশিদ আহমেদ, মারিয়া এলাকার আবদুলআজিজের ছেলে জামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার গোয়ালী গ্রামের আবুনাসির মিয়ার ছেলে জসিম, কাইতলার শহীদ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে সুজন ওস্বপন, গুড়িগ্রামের আবুল বাশারের ছেলে আনোয়ার হোসেন ও খড়িয়ালা গ্রামের চানমিয়ার ছেলে জারু মিয়া, চাঁদপুরের কচুয়ার নওয়াপাড়ার আলমের দুই ছেলে শাহাদাত ওটিটো মিয়া এবং নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর কাশীপুর এলাকার আবদুর রহিমের ছেলেওসমান গনি
বাহরাইনের বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মহিদুলইসলাম এই ১১ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেনতিনি জানান, মৃতদের মরদেহবাহরাইনের বাদশা হামাদ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে
এর আগে গত বছরের২৭ মে বাহরাইনের পূর্ব রিফা এলাকার একটি ভবনে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেসৃষ্ট আগুনে দম বন্ধ হয়ে ১০ বাংলাদেশি মারা যান
এ ছাড়া ২০০৬ সালে গুদাইবিয়া এলাকায় আগুনে পুড়ে মারা যান ১৬ বাংলাদেশিএ ছাড়া গত বছরের ২৭ মে আগুনে পুড়ে ১০ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়
মহিদুলইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে আগুন লাগার খবর পেয়েইআমরা ঘটনাস্থলে যাইঅনেক রাত পর্যন্ত আমরা সেখানে ছিলামকিন্তু ভবনটি ধসেযাবে আশঙ্কায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আমাদের দূরে সরিয়ে দেনকিছুক্ষণ পরসত্যি সত্যি ভবনটি ধসে পড়েওই ভবনটি ভাড়া নিয়েছিল পাকিস্তানিরাতবে অনেকবাংলাদেশিও সেখানে থাকতেন
বাহরাইনের প্রধানমন্ত্রী প্রিন্স খলিফা বিনসালমান আল খলিফা এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেনবাহরাইনের সিভিল ডিফেন্সেরভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক দেশটির গণমাধ্যমকে জানান, স্থানীয় সময় পৌনে চারটারদিকে তিনতলার ভবনটিতে (শ্রমিক ক্যাম্প) আগুন লাগেঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসদ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়পরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটি ধসে পড়েএ ঘটনায়ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীও গুরুতর আহত হয়েছেন
বাহরাইনের গালফ ডেইলি নিউজ জানিয়েছে, ভবনের ২৬টি কক্ষে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের শ্রমিকেরা থাকতেন
গণমাধ্যমবলছে, ওই ভবনটি অবৈধভাবে করা হয়েছিল এবং সেখানে যেসব প্রবাসী থাকতেন, তাঁদের বেশির ভাগেরই সুনির্দিষ্ট কোনো কোম্পানির কাজ ছিল নাফলে তাঁরা যখনযেখানে ভালো সুবিধা পেতেন, সেখানেই কাজ করতেন
মৃত ব্যক্তিদের লাশ খুবশিগগির দেশে আনা হবে বলে জানিয়েছেন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণব্যুরোর (বিএমইটি) পরিচালক (কল্যাণ) মুহসিন চৌধুরীগতকাল রাতে তিনি প্রথমআলোকে বলেন, ‘এই ঘটনা হূদয়বিদারকআমরা দূতাবাসের মাধ্যমে সার্বক্ষণিকযোগাযোগ রাখছিমৃতরা যে কোম্পানিতে চাকরি করতেন, সেখানে তাঁদের বেতন বকেয়ারয়েছে কি না, কত ক্ষতিপূরণ পাবেনএই বিষয়গুলোর ব্যাপারেও আমরা খোঁজখবরকরছি

 

নিউজরুম

 

শেয়ার করুন