কৃষি ডেস্ক(১২ জানুয়ারী): বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় গত বুধবার পুলিশের নির্যাতনে হারেজ আলী (৬৫)নামে একজন কৃষক নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে অভিযুক্তপুলিশ কর্মকর্তাসহ দুজনকে নন্দীগ্রাম থানা থেকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করেনেওয়া হয়েছে।
ঘটনা তদন্তে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আবদুল ওয়ারিশকে প্রধান করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার দুপুরে নন্দীগ্রাম থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) প্রদীপ কুমার সরকার ও কনস্টেবল সামিউল হোসেন উপজেলার ভাটড়াইউনিয়নের হাটকড়ই বাজারের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় বাজারের একটি মুঠোফোনকোম্পানির টাওয়ারের পাশে তাস খেলছিল কয়েকজন ব্যক্তি। ওই দুজন পুলিশ সদস্যসেখানে গিয়ে জুয়া খেলার অভিযোগে চার ব্যক্তিকে আটক করতে চান। এ সময় বাজারেউপস্থিত চক হাটকড়ই গ্রামের কৃষক হারেজ আলী পুলিশকে নিবৃত্ত করার চেষ্টাকরেন। একপর্যায়ে পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তা হারেজ আলীকে মারধর করেটেনেহিঁচড়ে একটি অটোরিকশায় তুলে থানার উদ্দেশে রওনা দেন। বাজার ত্যাগ নাকরতেই হারেজ আলী মারা যান। এরপর জনরোষ থেকে বাঁচতে লাশ ফেলে পালিয়ে যানতাঁরা।
নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানশামসুল ইসলাম বলেন, হারেজ আলী নিরীহ কৃষক। পুলিশি নির্যাতনে ঘটনাস্থলেইহারেজ আলী প্রাণ হারিয়েছেন। পরে লাশ ফেলে পালিয়ে গেছেন তাঁরা। হারেজ আলীরছেলে আয়েন উদ্দিন দাবি করেন, পুলিশ তাঁর নিরীহ বাবাকে বিনা দোষে নির্যাতনকরে মেরে ফেলেছে। মামলা দিতে চাইলেও পুলিশ তা নেয়নি।
নন্দীগ্রাম থানারভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতেপাওয়ার পর অভিযোগ প্রমাণ হলে মামলা নেওয়া হবে।
বগুড়ার জ্যেষ্ঠ সহকারীপুলিশ সুপার (এএসপি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, হারেজ আলী আটক চারজন জুয়াড়িকেছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বাগিবতণ্ডার একপর্যায়ে তিনি মারা যান।অভিযুক্ত এএসআই প্রদীপ কুমারের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য জানাযায়নি।
নিউজরুম