স্পোর্টস ডেস্ক(১২ জানুয়ারী):যা কেউ আগে করে দেখাতে পারেনি ২০১২ সালে তা-ই করে দেখিয়েছেন লিওনেল মেসি।চতুর্থবারের মতো ফিফা ব্যালন ডি’অর ট্রফি নিজের করে নিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। চারবার ফিফার বর্ষসেরা হয়েই নিজের মধ্যে বপন করেছেন নতুন স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন আরেকটি ব্যালন ডি’অরের। তবে মেসি নিজে নিশ্চিত নন, নিজের মধ্যে লালন করা নতুন এই স্বপ্নের নাগাল তিনি পাবেন কি না।
২০১২ সালটা জীবনে কোনোদিন ভুলতে পারবেন না মেসি। এ বছরই তিনি ৯১ গোল করে সৃষ্টি করেছেন নতুন ইতিহাস। এক বর্ষপঞ্জিকায় এত গোলের রেকর্ড এত দিন ছিল কেবল সাবেক জার্মান স্ট্রাইকার জার্ড মুলারের দখলে। ৮৫ গোল করে মেসি পেছনে ফেলেছিলেন মুলারকে। চ্যাম্পিয়নস লিগের এক আসরেও সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটি তিনি নিজের করেছিলেন এই ২০১২ সালেই।
এমন একটি মৌসুম একজন ফুটবলারের জীবনে হয়তো আসে একবারই। কিন্তু মেসি ২০১৩ সালকেও সাজাতে চান একই রঙে। তাঁর মতে, ২০১২ সালের পারফরম্যান্স ২০১৩ সালেও ধরে রেখে আরেকটি ব্যালন ডি’অর ট্রফিতে হাত দেওয়ার ব্যাপারটি মন্দ নয়।
ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে মেসি বলেছেন, ‘আমি এই মুহূর্তে আরও একটি ব্যালন ডি’অরের স্বপ্ন দেখছি। আপাতত আমাকে এই মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে দিন।’
মেসি অবশ্য স্বীকার করেছেন, আরও একটি ব্যালন ডি’অরের এ স্বপ্নটি পূরণে তাঁকে ছাপিয়ে যেতে হবে ২০১২ সালের কৃতিত্বকেও। পুরো বিষয়টি কঠিন অভিহিত করে তিনি বলেছেন, ‘আরও একটি ব্যালন ডি’অর জিততে গেলে আমাকে ২০১২ সালের কৃতিত্বকেও ছাপিয়ে যেতে হবে। হয়তো ২০১২ সালে করা ৯১ গোলের মতোই বিশেষ কিছু করে দেখাতে হবে আমাকে। ব্যাপারটি কঠিন, সন্দেহ নেই।’
প্রতিটি ব্যালন ডি’অর মেসিকে আলাদা করে আনন্দ দিয়েছে।
মেসি স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘জীবনের প্রথম ব্যালন ডি’অরটি আমাকে অভিভূত করেছিল।কিন্তু দ্বিতীয়টি যেন হঠাত্ করেই পেয়েছি। এমনকি দ্বিতীয় ব্যালন ডি’অরটি আমার প্রত্যাশার বাইরেই ছিল। তৃতীয় ব্যালন ডি’অর পেয়ে আমি ছিলাম গর্বিত।কারণ তৃতীয়টি পেয়ে আমি ইয়োহান ক্রুইফ ও মিশেল প্লাতিনির সঙ্গে একই ব্র্যাকেটে বন্দী হয়েছিলাম।’
চারটি ব্যালন ডি’অর জিতে আপাতত মেসির লক্ষ্য ক্লাব বার্সেলোনাকে আরও একটি লা লিগার শিরোপা এনে দেওয়া। একই সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগের হারানো শিরোপাটা পুনরুদ্ধারের স্বপ্ন তো আছেই। তবে আর্জেন্টিনাকে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ জেতানোর স্বপ্নটাও সযত্নে লালন করে চলেছেন মনের কোণে। ওটা করতে পারলেই যে তিনি হয়ে যাবেন সর্বকালের অবিসংবাদিত সেরা।
২০০৯ সাল থেকে যত অর্জন। তার মধ্যে তিনি এগিয়ে রাখতে চান ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জয়টিকেই। তিনি চোখ বুজলেই নাকি এখনো হারিয়ে যান রোমে অনুষ্ঠিত ফাইনালের দিনটিতে। তাঁর হেডের গোলেই সেবার বার্সেলোনা জিতেছিল ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা। ওই গোলটি আর জয়ের পর সতীর্থদের সঙ্গে জয় উদযাপনের আনন্দ অন্যরকম কিছু হয়েই আছে লিওনেল মেসির স্মৃতিতে। গোল ডটকম।
নিউজরুম