রুপসীবাংলা ডেস্ক রির্পোট : যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে আটক বাংলাদেশি যুবক কাজী মোহাম্মদ রেজওয়ানুল আহসান নাফিসের মামলার শুনানিতে নাফিজ আবারও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
বুধবার সকালে নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলিনের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে শুনানি শুরু হলে নাফিজ আবারও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
ফেডারেল কোর্টের প্রধান বিচারক ক্যারল এমনের আদালতে নাফিসের মামলার শুনানি চলছে। শুনানির শুরুতে নাফিসের পক্ষের আইনজীবী তাঁকে নির্দোষ দাবি করে জামিনের আবেদন করলে এর বিরোধিতা করেন প্রসিকিউটর।
এক্ষেত্রে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয় ২০ ফেব্রুয়ারি।
বুধবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নাফিসকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় তাঁর পরনে ছিল ছাই রঙের বিশেষ পোশাক। আদালতে নাফিসের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন হেইডি সিজর। পুরো সময়ই নাফিস ছিলেন নির্লিপ্ত ও ভাবলেশহীন। নাফিসের আইনজীবী তার জামিন চাইলে আদালত তা নাকচ করে দেন। এর ফলে নাফিসকে আবারও জেলহাজতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
শুনানি শেষে নাফিসের আইনজীবীর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় আদালতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মনিরুল ইসলাম ও ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কনস্যুলেট বিভাগের প্রধান শামসুল আলম।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ভবন উড়িয়ে দেওয়ার চক্রান্তের অভিযোগে নাফিসকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মার্কিন সরকার নাফিসের কাছে দুটি প্রস্তাব দিয়েছে।
এর প্রথমটি হচ্ছে—নাফিস দোষ স্বীকার করলে তার সাজার মেয়াদ কমানো হবে; দ্বিতীয়টি হচ্ছে দোষ অস্বীকার করলে পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে। যাতে নাফিস দোষী হলে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
ফেডারেল রিজার্ভ ভবন উড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই) গত বছরের ১৭ অক্টোবর নাফিসকে গ্রেপ্তার করে। ১৬ নভেম্বর গ্র্যান্ড জুরি নাফিসকে অভিযুক্ত করে।
গত বছরের জানুয়ারিতে ছাত্র ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর দক্ষিণ-পূর্ব মিসৌরির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন নাফিস। কিন্তু সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে ওই কোর্স শেষ না করেই জুনের শেষ সপ্তাহে নিউইয়র্কে একটি টেকনিক্যাল কলেজে ভর্তি হন তিনি। গ্রেপ্তার হওয়ার পর ঢাকায় নাফিসের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, সে ষড়যন্ত্রের শিকার।
নিউজরুম